তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর, কঠোর হুঁশিয়ারি-নিষেধাজ্ঞা চীনের

|

তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চীন-তাইওয়ান সমুদ্রসীমায়। তাইওয়ানের সমুদ্রসীমায় যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে চীন, চলছে ত্রিমুখী মহড়া। তাইপের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে বেইজিং। তবে পাল্টা হুঁশিয়ারিতে তাইপে জানায়, চাপের কাছে মাথা নত করা হবে না। খবর আল জাজিরার।

চীনের হুমকি-হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সেখানে তাকে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এর পাশাপাশি সাক্ষাৎ করেন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথেও। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার তাইওয়ানের সীমানায় আবারও যুদ্ধজাহাজ পাঠালো চীন।

অঞ্চলটির সমুদ্রসীমার দুই প্রান্তে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায় বেইজিং। সমুদ্রে টহল দিচ্ছে সেগুলো। আগামী ৩ দিন চলবে মহড়া। সেই সাথে অঞ্চলটির ওপর দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তাইওয়ানের রাষ্ট্রদূত হসিয়াও বি-খিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, হসিয়াও বি-খিম এবং তার পরিবারের সদস্যরা কেউ চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং ও মেকাও প্রবেশ করতে পারবেন না।

এ নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাও নিং মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানে ইস্যুটি গণতন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটি চীনের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্ত্বের বিষয়। তাইওয়ান চীনেরই অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এখানে কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। এই ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না বেইজিং।

এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তাইওয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্র। একে আগ্রাসন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তাইপে। হুমকি কিংবা চাপের কাছে মাথা নত করা হবে না বলেও জানান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। তিনি বলেন, এসব হুমকি-হুঁশিয়ারি আর কড়াকড়ি আরোপ করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। তাওয়ান আগের চেয়েও অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। নিজেদের অধিকার আদায়ে আমরা কখনো পিছু হটবো না, কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবো না।

গেলো বছর মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই অব্যাহত ত্রিমুখী উত্তেজনা। দফায় দফায় চলছে দক্ষিণ চীন সাগরে তিন দেশের সামরিক মহড়া। ফেব্রুয়ারিতেও তাইওয়ানের আকাশ সীমায় ২১টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply