ক্রিকেটে সবই সম্ভব। এটি আবারও প্রমাণ করলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এই অসম্ভবকে যিনি সম্ভব করেছেন তিনি রিংকু সিং। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন দলকে। তাইতো রিংকু বন্দনায় মেতেছেন শচীন টেন্ডুলকার ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। সেই সাথে সতীর্থদের থেকেও সাধুবাদ পেয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
জয়ের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। জেতার আশা কেউ কি করেছিলেন? ত্রাতার ভূমিকায় রিংকু সিং যে ওরকম ঝড় তুলবে তা কে জানতো? তবে অসম্ভব সম্ভব হয়েছে রিংকুর ব্যাটে। টানা ৫ ছয়ে শেষ ওভারে নেন ৩১ রান। গুজরাটের মাঠেই গুজরাট টাইটান্সকে বধ করেছে কেকেআর।
রিংকুর এমন ব্যাটিং পারফরমেন্সে খুশি দলটির মালিক স্বয়ং শাহরুখ খানও। রীতিমত মুগ্ধ বলিউডের বাদশা। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এই ব্যাটারকে। টুইটারে শাহরুখ খান ‘পাঠান’ সিনেমার পোস্টারে তার ছবির জায়গায় রিংকু সিংয়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ঝুমেজো রিংকু. . মাই বেবি’।
শুধু দলের মালিক শাহরুখ খানই নন, গোটা নাইট রাইডার্স শিবিরই রিংকু সিংকে সুপার হিরোর তকমা দিয়েছে। শ্রেয়াস আয়ার থেকে শুরু করে বেঙ্কটেশ আয়ার, অধিনায়ক নীতীশ রানা, প্রত্যেকের মুখেই রিংকুর নাম।
কলকাতা অধিনায়ক নীতীশ রানা বলেন, গত বছরও রিংকু এইরকম আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে আমরা জিততে পারিনি। এদিন ওর ওপর ভরসা ছিল। দ্বিতীয় ছক্কা মারার পর আরও আশাবাদী হয়ে পড়েছিলাম। কারণ যশ দয়াল সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারছিল না।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকারের মুখেও ছিল রিংকু সিংয়ের নাম। এই ইনিংস থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন এই মহাতারকা। শচীন টেন্ডুলকার বলেন, সবারই মনে হয়েছিল রশিদের হ্যাটট্রিকটি একটি গেম-চেঞ্জার ছিল। আমিও তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু রিংকুর পাওয়ার-হিটিং ছিল বিশেষ কিছু। শেষ কয়েক মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই আশ্চর্যজনক খেলাটি আমাদের শেখাচ্ছে যে খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেষ নয়। কখনো হাল ছাড়তে নেই।
গতবার আইপিএলে লাখনৌ সুপার জায়েন্টসের বিরুদ্ধে এরকমই এক অবিশ্বাস্য ইনিংসে কেকেআরকে প্রায় জিতিয়ে দিচ্ছিলেন রিংকু। কিন্তু এভিন লুইসের অবিশ্বাস্য একটি ক্যাচে গেল বছর রিংকুর সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। ২০২৩ সালে সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন রিংকু।
/আরআইএম
Leave a reply