যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার কোথায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

|

সংসদে বক্তব্যরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যে যুক্তরাষ্ট্র কথায় কথায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের অবস্থা কী! কয়েকদিন আগে টেনেসি রাজ্যে তিনজন কংগ্রেস সদস্যকে বরখাস্ত করা হয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কথা বলার অপরাধে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উপেক্ষিত। আমেরিকায় প্রায় প্রতিদিনই স্কুলে শিশুদের হত্যা করছে, ক্লাবে ও মার্কেটেও হত্যা করছে। কোনো না কোনো রাজ্যে প্রতিদিনই এটা ঘটছে। তিন কংগ্রেস সদস্যের অপরাধ ছিল, তারা বলেছিলেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই অপরাধে তাদের কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখানে মানবাধিকার কোথায়? গণতন্ত্র কোথায়?

বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি রাশেদ আমেরিকায় আশ্রয় নিয়ে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে। খুনের সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে আশ্রয় দেবেন না। তারপরও রাশেদকে ফেরত দেয়া হচ্ছে না।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ছোট্ট শিশুর হাতে দশটা টাকা দিয়ে তাকে দিয়ে মিথ্যা বলালো, ভাত-মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই। তার কথা রেকর্ড করে প্রচার করলো স্বনামধন্য একটি পত্রিকা প্রথম আলো। তারা বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশ ও মানুষের শত্রু। তারা এদেশে স্থিতিশীলতা চায় না। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘটনায় তারা উৎফুল্ল হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আছে সুদখোর। আমেইকার খুব প্রিয় সে। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞেস করে না, একজন সামাজিক ব্যবসা করে এতো অর্থ লাভ করে কীভাবে?

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বহালের পক্ষে মত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সরকারের সুরক্ষা দিয়েছে। এই বিধান না থাকলে ফ্লোর ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সরকারে ভাঙা-গড়ার খেলা চলতো। এই অনুচ্ছেদ বিলোপের দাবির কড়া সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply