খাদ্যে ভেজালে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর, মজুদে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

|

খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে আইন ভঙ্গ বা অনিয়ম করলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২৩ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনে বাজারে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করলে দুই বছর থেকে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন কেউ লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি হবে ভ্রাম্যমাণ এবং নিরাপদ খাদ্য আদালতে। অধিক মুনাফার আশায় খাদ্য মজুদ করলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যে অস্বাভাবিক কোনও কিছু মেশানো, কৃত্রিম সংকটের জন্য মজুত করা, বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম দেয়া হলে সব অপরাধের জন্য একই রকম শাস্তি দেয়া হবে।

এর আগে, গত বছরের ১৯ এপ্রিল এ আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করলে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি আগের দুটি আইনের সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মো. মাহবুব হোসেন। আরও বলেন, আইনে ২০টি ধারা রয়েছে। কেউ যদি খাদ্যে ভেজাল করেন তাহলে এ আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। কেউ আইন লঙ্ঘন করে খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে আদালতকে। এছাড়াও আইনে দানাদার খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে অনিয়ম করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধানের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply