রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কৃষি জমিতে বিএমডিএর সরবরাহকৃত সেচের পানি না পেয়ে এক আদিবাসী (সাঁওতাল) কৃষক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই কৃষকের নাম মুকুল সরেন (৩৫)। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামের গোপাল সরেনের ছেলে।
বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে রামেক হাসপাতালে তাকে দেখতে যান রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এদিকে গত বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে একই উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের অভিনাথ মারান্ডি ও রবি মারান্ডি নামে দুই আদিবাসী কৃষক বিএমডিএর এই একই ডিপ থেকে সেচের পানি না পেয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। তারা সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিনে রাজশাহীতে বেড়েছে প্রচণ্ড তাপদাহ। এতে তাদের বোরো আবাদের জমিতে সেচের প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু প্রায় ৭-৮ দিন ধরে মুকুল সরেন সেচের পানির জন্য ঘুরেও পানির ব্যবস্থা করতে পারেননি।
রোববার দুপুরে নলকূপ অপারেটর হাশেম আলী বাবুর সাথে দেখা করে সেচের পানি চান সরেন। এ সময় ডিপ অপারেটর বাবু তাকে এক বোতল বিষ দিয়ে বলেন, আমার জমিতে বিষ দিয়ে আয়। মুকুল তার জমিতে পানির জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু সে বিষয়ে কিছু না বলায় সেই বিষের বোতল হাতে নিয়ে সেই বিষ পান করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করে তার শরীর থেকে বিষ বের করা হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। মুকুল এখন অনেকটা সুস্থ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে সোমবার রাতে আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুকুল সরেনের সাথে দেখা করেছি। এ ঘটনার তদন্তে গোদাগাড়ী উপজেলার ইউএনওকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুকুলের চিকিৎসার সকল খরচ আমরা বহন করবো। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই বিষয়ে আমি দেখবো।
এএআর/
Leave a reply