সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, এমন দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বলেছেন, আমেরিকা যেটা চায় সেটা হলো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমরাও সেটা চাই। এখানে আমাদের কোনো দ্বিমত নাই। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানানো হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে ফিরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গত ১০ এপ্রিল ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও বাড়াতে চায়। তার জন্য তারা একজন রাষ্ট্রদূতকে পাঠিয়েছে, যার তিরিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ইকোনমির ওপরে। উনি ইকোনমি ইস্যুর ওপর এক্সপার্ট। আমরা আশা করবো, আমাদের ইকোনমি ও ট্রেড ডেভেলপমেন্ট যাতে তরান্বিত হয় তার ওপর জোর দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সব দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সেজন্য সবাইকে উৎসাহ সৃষ্টি করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ তাদের বলেছে আমাদের অপজিশন কোনো মিটিং-মিছিল ও আন্দোলন করতে পারে না। এসব করতে গেলে তাদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা তো কাউকে রাজনৈতিক কারণে জেলে নেই না। কেউ অপরাধ করলে জেলে নিই, আগুন দিয়ে কিছু পোড়ালে। ওদের তো কোথাও আমরা আটকাই না।
কয়েকটি বিষয়ে তাদের (আমেরিকা) প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সেসবের উত্তর আমরা দিয়েছি। ডিএসএ (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) সম্পর্কে একটা প্রশ্ন হয়েছে। আমরা বলেছি যে আমরা মনে করি, ডিএসএতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগটা ঠিকমতো হয়নি। সেগুলো আমরা বিচার করছি। আর এখানে যদি কোনো দুর্বলতা থাকে উই উইল টেক কেয়ার অফ ইট (আমরা সেগুলোর সুরাহা করবো)।
/এমএন
Leave a reply