শরীর ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন দই খাচ্ছেন?

|

অনেকেই চিকেন চপ, বিরিয়ানি বা ফ্রায়েড রাইসের সাথে চিলি চিকেন রান্নার সময় দইয়ের ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার মাখন দিয়ে পরোটার সাথে ঠান্ডা টক দইও খেতে ভালোবাসেন। তবে তারা হয়তো জানেন না যে, এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর!

প্রোবায়োটিক, ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ টক দই স্বাস্থ্যকর হলেও তা পরোটার সাথে খেলে অ্যাসিডিটি, পেট ফোলা-ভাব ও অন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়ে পরিপাকতন্ত্রের ওপর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পরোটাই নয়, দই আরও কিছু খাবারের সাথে খাওয়া বিপজ্জনক। সেসব খাবারের তালিকা নিচে দেয়া হলো-

গুড়: মিষ্টি হিসেবে চিনির বিকল্প হলো গুড়। প্রতিদিনের ডায়েটে গুড় থাকলে তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু দইয়ের সঙ্গে গুড় খেলে ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার গুড় গরম জাতীয় খাবার, সেখানে দই ঠান্ডা। ফলে কাশি, জ্বর, সর্দি হতে পারে।

দুধ: দুধ আর দই মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করা হয়। তবে এটা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। দইয়ের মতো কোনো ফার্মেন্টেড খাদ্যসামগ্রী দুধের সাথে খাওয়া উচিত নয়। এতে সংক্রমণ, পেট ফোলাসহ নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

চা: চা আর দই হলো গরম-ঠান্ডা খাবারের কম্বিনেশন। তাই গরম চায়ের সাথে ঠান্ডা দই অথবা দইয়ের তৈরি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীরের মেটাবলিক সিস্টেমের ওপর প্রভাব পড়ে।

আম: ম্যাঙ্গো শেক বানানোর সময় অনেকেই দই ব্যবহার করেন। এটা অস্বাস্থ্যকর। অ্যানিম্যাল প্রোটিনে সমৃদ্ধ দই কোনো ফলের সাথে খাওয়া হলে শরীরে ফারমেন্টেশন ঘটে। এতে বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মাছ: অনেকেই দই-মাছ ভালোবাসেন। দই আর মাছ- উভয়ই প্রোটিন সমৃদ্ধ। একসাথে দুটি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

পরোটা: পরোটা কিংবা ভাজাভুজির সাথে টক দই খেলে হজমের প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হতে শুরু করে। এমনকি, অবসন্ন ও ক্লান্তি ভাব আসে।

(এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply