একে একে ১২ বন্ধুকে হত্যা করেন তরুণী, কারণ জেনে হতবাক পুলিশ

|

থাইল্যান্ডে নিজের ১২ জন বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সারারাত রংসিউথাপর্ণ নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে তার সাবেক প্রেমিক ও দুজন নারী পুলিশ সদস্যও। একজন ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সারারাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পরই বেরিয়ে আসে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। খবর বিবিসির।

পুলিশ বলছে, গত ২ সপ্তাহ আগে ব্যাংককের পার্শ্ববর্তী রাতচাবুরি প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন সারারাত, সাথে ছিলেন তার এক বন্ধু। নদীর পাশেই চলছিল এ আচার-অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে হঠাৎ ওই বন্ধু জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান এবং সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা এবং ব্যাগও আর পাওয়া যায়নি। এর আগে আরও একজন সারারাতের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর একইভাবে মারা যান। পুলিশের দাবি, তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয় হুবহু একইভাবে। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে সারারাতের বিরুদ্ধে। অবশ্য পুলিশ বলছে, আসল হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

থাই পুলিশের দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন সারারাত। তাই ২০২০ সাল থেকেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বন্ধুদের টার্গেট করেন তিনি। তাদের সাথে ঘুরতে বের হওয়ার ছলে খাবারে কৌশলে সায়ানাইড প্রয়োগ করতেন তিনি। এতেই মৃত্যু হতো এসব হতভাগ্যদের। হত্যার পর তাদের কাছে থাকা সব দামি জিনিস এবং ব্যাংক থেকে তাদের সব টাকা তুলে নিতেন এই তরুণী। এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে হত্যা করেছেন সারারাত। অবশ্য সকলের পরিচয় এখনও পায়নি পুলিশ। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তদন্ত।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply