সংঘাত ছাড়াও এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সুদান

|

ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের থেকেও সুদানে এখন বড় সমস্যা হলো গণহারে পলায়ন। আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিদেশিদের সরানো হলেও প্রাণে বাঁচতে ঝূঁকিপূর্ণ পথে প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছেন হাজারও মানুষ। জাতিসংঘের আশঙ্কা, সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বাস্তচ্যুত হবেন ৩ লাখের বেশি মানুষ। আর এর সবচেয়ে বড় চাপ সইতে হবে মিসরকে। খবর আল জাজিরার।

উত্তরাঞ্চলীয় আরকিন ক্রসিংয়ের দিকেই সুদানের নাগরিকদের ঢল। মিসরের দাবি, এক সপ্তাহে এ সীমান্ত পথে তাদের দেশে প্রবেশ করেছেন ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। তাছাড়া দুই হাজার বিদেশি নাগরিক এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের বিমানের মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছে সিসি প্রশাসন। মূলত, সুদানের নিকটতম এবং বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী হওয়ার কারণে এই বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে দেশটিকে।

যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী এবং অভিবাসী বিষয়ক কমিটির তথ্য অনুসারে, মিসরে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছে ৫৫ থেকে ৮০ হাজারের মতো সুদানের নাগরিক। প্রকৃত সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।

জাতিসংঘের আশঙ্কা, শিগগিরই সংঘাত বন্ধ না করা গেলে গৃহহীন হবেন সুদানের ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি নাগরিক। এরইমধ্যে দক্ষিণ সুদান-মিসর-চাদ-মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে পালিয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সুদানের সংকট সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি স্থাপন, শত্রুতারোধে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। আফ্রিকান দেশটিকে গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে সচেষ্ট আন্তর্জাতিক মহল। তবে মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই মূল চ্যালেঞ্জ।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের সরাতে কাজ করছে জাতিসংঘের ১২০০ কর্মী। তাদের সহযোগিতায় রয়েছে মার্কিন দূতাবাস ও কর্তাব্যক্তিরা। যৌথ উদ্যোগ ছাড়া ভয়াবহ অবস্থা সামলানো অসম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রাণঘাতী লড়াই চলাকালেও যারা দেশত্যাগে নারাজ বা অপারগ, তারা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সহিংসতার কারণে পৌঁছানো যাচ্ছে না জরুরি ত্রাণ। দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোয় বন্ধ অন্তত ৮৬টি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র। যে কারণে প্রাথমিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হাজারও মানুষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply