ভারতের পাঞ্জাবে একটি কারখানা থেকে হওয়া গ্যাস লিকেজের রহস্যের এখনও কোনো কূলকিনারা হয়নি। কোন বিষাক্ত গ্যাস লিক হচ্ছে তাও শনাক্ত করা যায়নি, গ্যাসের ছড়িয়ে পড়াও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত এলাকাটি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢেকে তদন্ত চলছে। খবর দ্য হিন্দুর।
রোববার (৩০ এপ্রিল) পাঞ্জাবের লুধিয়ানার গিয়াসপুরের ‘গোয়াল মিল্ক প্ল্যান্ট’ কারখানায় ঘটে এ ঘটনা। বিষাক্ত গ্যাস লিক হওয়ার পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে ২ শিশুসহ এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এ দিকে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঘটনাস্থলের তদন্তভার নিয়েছে। বিশেষ পোশাক পরে কাজ করছেন তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে কারখানা এবং নিহতদের শরীর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
পুলিশের দাবি, পরীক্ষার পরই বিষাক্ত গ্যাসটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তবে কারখানার ওই বিষাক্ত গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে এলাকাবাসীর।
প্রসঙ্গত, রোববার সকাল সোয়া ৭টা নাগাদ ‘গোয়াল মিল্ক প্ল্যান্ট’ কারখানায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে দুই শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। গুরুতর অসুস্থ আরও চারজন। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়নি। সরাসরি মস্তিষ্কে আঘাত করেছে গ্যাসটি।
এসজেড/
Leave a reply