পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। অথচ সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে হতাশ পর্যটকরা। যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় বেড়াতে এসে প্রায়ই স্বজন হারিয়ে ম্লান হয়ে যাচ্ছে অনেকের ভ্রমণের আনন্দ। তবে পর্যটন এলাকায় নেটওয়ার্ক জোরদারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট জাফলং। বছরজুড়ে পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখর এ স্থানে নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। একই অবস্থা আরেক স্পট সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রেও। যদিও এসব স্থানে ছুটির দিনে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসে হাজারো মানুষ। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় নানা ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
অথচ এসব পর্যটন কেন্দ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে ভারতের শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক। যার বিস্তৃতি বাংলাদেশের এক কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। তাহলে বাংলাদেশে কেন সম্ভব হচ্ছে না এমন প্রশ্ন রাখেন পর্যটকদের অনেকে।
জাফলং ঘুরতে পর্যটকরা অভিযোগ করেন, দলবেঁধে ঘুরতে আসলে সবসময় একসাথে থাকা যায় না। কেউ ছবি তুলতে কিংবা সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিন্ন দিয়ে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে চোখের আড়াল হলেও ফোন করলেই সহজে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু এখানে সে সুযোগ খুব কম। কখনো নেটওয়ার্ক পায় আবার কখনো পায় না।
পর্যটকদের নানা অসুবিধার কথা স্বীকার করে দ্রুত তা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখ। তিনি বলেন, স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী হারিয়ে গেছে; বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধু হারিয়ে গেছে। নেটওয়ার্কিংয়ে সমস্যার জন্য কিন্তু এরা হারিয়ে গেছে। এখানকার পর্যটনকে এগিয়ে নিতে আমাদের এখন বড় সমস্যা এই নেটওয়ার্ক। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।
এদিকে মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ফোন অপারেটর, বিটিআরসি এবং টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দেখবো, এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এএআর/
Leave a reply