ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী পৌর এলাকার আরামবাগে একটি ডোবা থেকে বেহেশতি আক্তার মীম নামে সাত বছরের এক মেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় স্থানীয় নির্মাণাধীন ভবনের পাশে ডোবা থেকে নিখোঁজের চার ঘন্টা পর শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা বলছেন, ধর্ষণ অথবা ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা হতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার মো. কবির পেশায় দিনমজুর। দীর্ঘদিন থেকে পৌর এলাকার আরামবাগে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। তার মেয়ে বেহেশতী আক্তার মীম প্রতিদিনের মতো সকালে পার্শ্ববর্তী মক্তবের উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু মক্তবের সময় পেরিয়ে গেলেও বাসায় না ফিরলে খোঁজাখোঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন ভবনের পাশে ডোবা থেকে মীমের মরদহ উদ্ধার করা হয়। বেহেশতী আক্তার মীম স্থানীয় আরামবাগ মাদ্রাসার ছাত্রী।
মীমের মা নূর নাহার জানায়, রাতে মীম তার দাদীর সাথে ঘুমায়। সকালে মক্তবের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আর ফেরেনি।
পুলিশ মীমের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ খান চৌধুরী জানান, মীম নামে এক কন্যা শিশু তার দাদীর বাসা থেকে মক্তবে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। চার ঘন্টা পর পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply