শেষ ওভারের নাটকীয় ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো কলকাতা

|

ছবি: সংগৃহীত

সবশেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতে হেরে চলতি আসরে প্লে-অফ থেকে খাঁদের কিনারায় চলে যাচ্ছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না কলকাতার সামনে। এমন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নাটকীয়ভাবে হারিয়েছে কেকেআর।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক নিতিশ রানা। শুরুতেই গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ফর্মে থাকা জেসন রয়ও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৭ করে আউট হলে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যকফুটে চলে যায় কলকাতা।

ছবি: সংগৃহীত

তবে মিডল অর্ডারে নিতিশ রানা, রিংকু সিং, আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং দৃঢতায় লড়াই চালিয়ে যায় কলকাতা। অধিনায়ক নিতিশ রানা ৩১ বলে ৪২ আর রিংকু সিংয়ের ৩৫ বলে ৪৬ রান করে আউট হন। আন্দ্রে রাসেলের ১৫ বলে ২৪ রানের পর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কলকাতা। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৭১ রান সংগ্রহ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ছবি: সংগৃহীত

হায়দরাবাদের হয়ে জেনসেন ও নাটারজন সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। আর ভুবেনেশ্বর, তিয়াগি, মার্করাম, মারকান্দে ১টি করে উইকেট নেন।

১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দলীয় ২৯ রানের মাথায় আগারওয়াল আউট হলে প্রথম উইকেট হারায় সানরাইজার্স। প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও খুব বেশি সময় লাগেনি স্বাগতিকদের। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ফিরে যান আরেক ওপেনার অভিষেক। এরপর ভালো শুরু করেও দলীয় ৫৩ রানে আউট হন রাহুল ত্রিপাটি। তার বিদায়ের পর ১ রানের ব্যবধানে চতুর্থ উইকেটও হারায় হায়দরাবাদ। এবার আউট হন হ্যারি ব্রুক। কোনো রান না করেই ফেরেন এই ব্যাটার।

ছবি: সংগৃহীত

দলীয় ৫৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে হায়দরাবাদ। এরপর দুই প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও এইডেন মার্করাম মিলে চাপ সামাল দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। গড়ে তোলেন ৭০ রানের জুটি। ১২৪ রানে ক্লাসেনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২০ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন ক্লাসেন। তবে ক্লাসেন ফিরলেও পরের ব্যাটারদের নিয়ে বাকি কাজটা সারতে পারেননি অধিনায়ক মার্করাম। দলীয় ১৪৫ রানের মাথায় মার্করাম বিদায় নিলে কার্যত জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্সের।

ভরুন চক্রবর্তীর শেষ ৬ বলে দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। ১৬৬ রানে ৮ উইকেটে হায়দরাবাদের ইনিংস থামলে কলকাতা ৫ রানে ম্যাচটা জিতে যায়। ডেথ ওভারে সেরা ইকোনমিতে বোলিং করে নাইট শিবিরে আরও একটি জয় এনে দেয়ার জন্য ম্যাচ সেরা হন স্পিনার ভরুন চক্রবর্তী।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply