ইমরানকে গ্রেফতারের পর ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইসলামাবাদ আদালত থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার (৯ মে) তাকে আটক করে, আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। পিটিআই সমর্থকদের অভিযোগ, আইনজীবীর কক্ষে হামলা চালিয়ে রীতিমতো অপহরণ করা হয়েছে ইমরানকে। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হন কয়েকজন আইনজীবীও। এ ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ করছে পিটিআই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদে। খবর দ্য ডনের।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

ইসলামাবাদের আদালত চত্বর যেন মারদাঙ্গা কোনো সিনেমার সেট। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ইমরান খান আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আইনজীবীর কক্ষে ঢুকে পড়ে আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স সদস্যরা। ধস্তাধস্তির পর, টেনে হিচড়ে তারা গাড়িতে তুলে নিয়ে যান পিটিআই প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে।

পুলিশ জানিয়েছে, আল কাদির ট্রাস্ট কেসে ইমরানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জানায়- একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের ৫০ বিলিয়ন রূপি বৈধ করার বিনিময়ে ইমরান খান ও তার স্ত্রী ঘুষ গ্রহণ করেছেন ১০০ কোটি রূপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জানান, এ মামলায় কয়েকবার তলব করা হলেও, হাজিরা দেননি ইমরান। সেই কারণে, গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন বিভাগ।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ মামলায় একাধিকবার তলব করা হয়েছে পিটিআই প্রধানকে। কিন্তু, ইমরান খান তাতে সাড়া দেননি। আর তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছে। এটা পুরোপুরি আদালতের বিষয়।

গ্রেফতারের আগে দলীয় নেতা-কর্মী ও জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদারের নির্দেশ দেন ইমরান খান।

ইমরান খান বলেন, আজ আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। যেহেতু ইসলামাবাদ যাচ্ছিই, পুলিশ, রেঞ্জার্স, আর্মি এনে দেশের অর্থ অপচয়ের প্রয়োজন নেই। কারও কাছে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট থাকলে, সেটি নিয়ে আমার কাছে আসুন। সেখানে আমার আইনজীবী রয়েছেন। আমি মানসিকভাবে জেলে যেতে প্রস্তুত। আপনাদের কাছে চাওয়া, আমাকে দেশের বড় কোনো অপরাধী সাজানোর নাটক করবেন না।

ইমরান খানকে গ্রেফতারের পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান জুড়ে। বিক্ষোভে নামে পিটিআই’র নেতা-কর্মীরা। দলের নেতাকর্মীদের দাবি, গ্রেফতার নয়, অপহরণ করা হয়েছে ইমরানকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।

গেল বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একের পর এক মামলা দায়ের হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে টানাপোড়েন চলছে কয়েক মাস ধরেই। মার্চে ইমরানকে গ্রেফতারে তার বাসভবন জামান পার্কে পুলিশ গেলে, রীতিমতো সংঘর্ষ হয় কয়েকদিন। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বাধায় তখন ইসলামাবাদ হাইকোর্টেও গ্রেফতার এড়ান ইমরান।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply