চিরনিদ্রায় শায়িত যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক হৃদয়

|

বিদায় হৃদয়...

যমুনা টেলিভিশনের নিউজরুম এডিটর কুদরত-ই খুদা হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টায় তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকার মালশাপাড়া কবরস্থানে হৃদয়কে সমাহিত করা হয়।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে রাজধানীর কলাবাগানের ভাড়া বাসা থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে যমুনা টেলিভিশন পরিবারে।

বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্টমর্টেমের পর হৃদয়ের মরদেহ পাঠানো হয় তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে জানাজা শেষে মালশাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয় হৃদয়কে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জে অবস্থানরত হৃদয়ের মাকে ফোন দিয়ে মৃত্যুর খবর জানান হৃদয়ের এক বান্ধবী। যমুনা টেলিভিশনের অফিসেও একই খবর জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সহকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের নিথর দেহ উদ্ধার ও স্বজনদের প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

ওই সময় হৃদয়ের বান্ধবী দাবি করেন, হৃদয় আত্মহত্যা করেছেন।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর হৃদয়ের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের হোসেনপুর উত্তর গ্রামে পাঠানো হয়। এর আগে তার পরিবারের পক্ষে মরদেহ বুঝে নেন হৃদয়ের দুই মামা। হৃদয়ের বাবা আরিফ হোসেন প্রবাসী।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন হৃদয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যমুনা টেলিভিশনে যোগ দেন হৃদয়। কর্মস্থলে অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও মিশুক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন হৃদয়। সদা হাস্যজ্জ্বল হৃদয়কে মনে রাখবেন তার ডেস্ক ও সহকর্মীরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply