ইমরানের গ্রেফতার: সামরিক স্থাপনায় হামলা ক্ষুব্ধ পাকিস্তানিদের

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইমরান খানের গ্রেফতারের পর আবারও সামনে এসেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে রাজনীতিকদের বিরোধের বিষয়টি। আটক হওয়ার আগ মুহূর্তে আবারও সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তোলেন ইমরান। এদিকে, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পিটিআই নেতাকর্মীরা। সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের এতো ক্ষোভের কারণ কী?- অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বারবার ঘুরেফিরে আসছে এ প্রশ্ন। খবর এপি’র।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

রাজনৈতিক উত্তেজনায় উত্তাল পাকিস্তানে জনতার ক্ষোভ থেকে রেহাই পায়নি স্পর্শকাতর স্থাপনাও। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা দফতরের সামনে বিক্ষোভ, এমনকি বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সেখানে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের রোষানলে পড়েছে লাহোর সেনানিবাসও। কোনো ভয়কেই তোয়াক্কা করছে না বিক্ষুব্ধরা।


বিক্ষুব্ধ পিটিআই সমর্থকরা বলছেন, আমরা কাউকে ভয় করি না, মৃত্যুকেও পরোয়া করি না। প্রয়োজনে আমরা পুরো পাকিস্তান অবরুদ্ধ করে ফেলবো। আর আদালত যদি জনগণের প্রতি এই নিষ্ঠুরতা না থামায়, তবে এগুলো আরও বাড়বে। ইমরান খানের সাথেই যদি এমন হয়, সাধারণ মানুষের কি হবে?

মাত্র একদিন আগেই আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরেক দফা বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান। যা রসদ জোগায় সমর্থকদের ক্ষোভে। বক্তব্যে, শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাকে দু’বার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন ইমরান। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাপ্রধানই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি- এমন কথাও বলেন সাবেক এ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।

পিটিআই চেয়ারপার্সন ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আইএসপিআর’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার নাম বলে নাকি সেনাবাহিনীকে অসম্মান করা হয়েছে। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আমাকে দু’বার হত্যার চেষ্টা করেছে। আইএসপিআর সাহেব, কান খুলে শুনুন, সম্মান কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নয়। তা সব নাগরিকের বেলায় প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ। ওই ব্যক্তি ও তার পুরো গ্যাং আছে আমাকে হত্যাচেষ্টার পেছনে। তদন্ত হলে তা প্রমাণ করবো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার লাভের পর থেকে এ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়ই সরাসরি সেনাশাসনের অধীনে ছিল পাকিস্তান। গণতান্ত্রিক সরকারের পেছনেও বরাবরই কলকাঠি নেড়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরান খানের উত্থানের পেছনেও সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে বড় করে দেখেন অনেকে। তবে পিটিআই নেতা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সেনা বাহিনীর সাথে সখ্যতায় ভাটা পড়ে তার। এক পর্যায়ে ইমরানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে পশ্চিমাদের সাথে সেনাবাহিনীর আঁতাতের অভিযোগও করা হয়। সর্বশেষ, ওয়াজিরাবাদে প্রচারণার সময় গাড়িবহরে হামলার পেছনে, সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইমরানের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply