ইউক্রেনীয় সেনাদের শক্তিশালী প্রতিরোধে রণক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়েছে রুশ ফ্রন্টলাইন। মঙ্গলবার (৯ মে) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। এ পরিস্থিতির জন্য শীর্ষ রুশ নীতিনির্ধারকদের দায়ী করেন তিনি। এদিকে, ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলতে আরও ১২০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, সামনে দখলদাররা আরও চাপের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাজধানী কিয়েভে একে একে ধেয়ে আসে রুশ বাহিনীর ছোড়া ১৫টি মিসাইল। এদিন দেশটির অর্ধেকের বেশি এলাকায় দফায় দফায় মিসাইল হামলা চালায় দখলদার রুশ বাহিনী।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, এদিন রাশিয়ার ছোড়া সবকটি মিসাইলই ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্র সহায়তার পর রণক্ষেত্রে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থানের জানান দিচ্ছে তারা।
এদিকে, ইউক্রেনীয় সেনাদের পাল্টা প্রতিরোধে ইউক্রেনে নড়বড়ে অবস্থানে রুশ ফ্রন্টলাইন। এরইমধ্যে, নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে তারা। খোদ রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনারের প্রধান দিয়েছেন এমন বার্তা।
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, গোলাবর্ষণ করে শত্রুদের হত্যার বদলে নিজেদের জীবন বাঁচাতে হচ্ছে আমাদের। কমান্ডারের বোকামির জন্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাচ্ছে সেনারা। ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে আমাদের ফ্রন্টলাইন। আজও একটি প্রতিরক্ষা ইউনিট পিছু হটেছে। এভাবে চলতে থাকলে যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত।
এদিকে, পশ্চিমা সামরিক সহায়তার পর যখন ঘুরতে শুরু করেছে ইউক্রেন যুদ্ধের মোড়, সেসময়ই আরেক দফা সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ১২০ কোটি ডলারের বিশাল প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের ওপর জোর দিচ্ছে ওয়াশিংটন। মূলত মস্কোর মিসাইল হামলা জোরদারের জেরে, ইউক্রেনের আকাশ পথ সুরক্ষিত রাখতে দেয়া হচ্ছে এ সহায়তা।
এ প্রসঙ্গে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট রাইডার বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনের যেসব সামরিক সহায়তা দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ীই প্যাকেজটি সরবরাহ করা হচ্ছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও ড্রোন বিধ্বংসী গোলাবারুদ, অস্ত্র, হাউইটজার ট্যাংকের গোলা এবং সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল থাকছে এর আওতায়। যাতে তারা দীর্ঘমেয়াদে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে এবার ওয়াগনার বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। বাখমুত থেকে সরে গেলে, সেনাদের দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
/এসএইচ
Leave a reply