সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে ধর্ম অবমাননার মামলা, রয়েছে দুর্নীতি, সহিংসতায় উস্কানি এমনকি চুরির অভিযোগও। মোট ১২১টি মামলা ঝুলছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাঁধে। আইনজীবী আর বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের লক্ষ্য হলো আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কারাবন্দি করে রাখা পিটিআই প্রধানকে। আর বিরোধী রাজনীতিকদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে যে আচরণ করেছিলেন ইমরান, এখন সেই পরিণতিই বরণ করতে হচ্ছে তাকে। খবর এনডিটিভির।
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতারের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরিণতি এবং তার মামলার আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। এই মুহূর্তে মূলত দুটি পথ খোলা আছে পিটিআই প্রধানের সামনে। হয় রিমান্ড শেষে আদালত থেকে জামিন নেয়া, অথবা জেলে গিয়ে মামলায় লড়ে যাওয়া।
বর্তমানে ১২১টি মামলা ঝুলছে ইমরানের কাঁধে। দুর্নীতি এবং আলোচিত তোশাখানা মামলা ছাড়াও রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সহিংসতায় উস্কানি, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলা। এমনকি ধর্ম অবমাননার মামলাও হয়েছে পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
এসব মামলার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগকে। জঙ্গিবাদ ইস্যুতে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টার মামলাও করা হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে শুধু ইসলামাবাদেই রয়েছে ৩১টি মামলা।
বর্তমানে দুর্নীতি দমন সংস্থার (এনএবি) ৮ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ইমরান, যা বাড়ানো হতে পারে আরও ৬ দিনের জন্য। আইনজীবী আর বিশ্লেষকরা বলছেন, এরপর জামিন আবেদন করলেও তা কার্যকর করার আগেই ফাঁসিয়ে দেয়া হবে অন্য মামলায়। কারণ সরকারের লক্ষ্যই হলো নির্বাচন পর্যন্ত ইমরানকে আটকে রাখা।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক ড. অমিত রঞ্জন বলেন, পিটিআই নেতাদের গ্রেফতারের ধরন খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রথমে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর দলের নেতৃত্ব ধরতে পারেন এমন সব নেতাকে একে একে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনোভাবেই দল পিটিআই যেন নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে সেটাই করতে চাইছে সরকার। তাই এটা নিশ্চিত যে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কারামুক্ত হতে পারবেন না ইমরান খান।
এদিকে, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোটের আসিফ আলি জারদারি এবং খাকান আব্বাসীর মতো শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে, দীর্ঘ সময় আটক রাখতেই মামলার জট তৈরি করা হয়েছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি বলেন, ইমরান খান কি নওয়াজ শরীফকে গ্রেফতার করেননি? লাহোর বিমানবন্দরে নামার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধু কারাবন্দিই নয়, তাকে রাজনীতি থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন সেই একই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে ইমরানকেই।
এদিকে, ইমরান খানের শঙ্কা, কারাগারে তাকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হতে পারে।
এসজেড/
Leave a reply