‘সিডরের মতোই শক্তিশালী অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’

|

ছবি: সংগৃহীত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার শক্তিমত্তাকে ২০০৭ সালে সংগঠিত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় সিডরের সমতুল্য বলে অভিহিত করেছেন আবহাওয়া অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. আসাদুর রহমান। তিনি জানান, প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ‘মোখা’। তবে সিডর দেশের মাঝ বরাবর দিয়ে গেলেও মোখা যাবে পাশ দিয়ে।

শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের মিডিয়া সেন্টারে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

সকাল সাড়ে নয়টায় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৪’তে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিবেগ আরও বাড়তে শুরু করেছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে  ৭৪৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. আসাদুর রহমান।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. আসাদুর রহমান ব্রিফিংয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা এখনও উপকূল থেকে সাড়ে সাতশো থেকে আটশো কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তাই ঘূর্ণিঝড়টির পক্ষে আরও শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ রয়েছে। উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ৮-১১ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে মোখা। এটি উপকূলের ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে চলে আসলে গতিবেগ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

মো. আসাদুর রহমান আরও বলেন, মোখার প্রভাব সিলেট পর্যন্ত থাকবে। বর্তমানে এর ডায়ামিটার ৫০০-৫৫০ কিলোমিটার। ডায়ামিটার যদি ২৫০ কিলোমিটারও থাকে, তাও তো কম না। তীর থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এর গতি থাকবে ১৬০-১৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু এটা আরও গতি সঞ্চার করতে পারে। এই গতিতে এগিয়ে এলে রোববার সকাল ১০টা থেকে ঝড়ো হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply