ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর ইস্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় চলছে মার্কিন রাজনীতিতে। বাইডেন প্রশাসন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের সীমা বাড়াতে ব্যর্থ হলে ৩১ ট্রিলিয়ন ডলারের খেলাপী হবে ফেডারেল সরকার। এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজে কংগ্রেস নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের দাবি, খরচ না কমানো হলে ঋণ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেবেন না তারা। রয়টার্সের খবর।
চলমান বৈশ্বিক সংকটসহ নানা কারণে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ। ফলে বাড়াতে হবে সীমা। এর ব্যত্যয় হলে আগামী মাস থেকেই প্রায় ৩১ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণখেলাপি হবে যুক্তরাষ্ট্র, পড়তে পারে সম্ভাব্য দেউলিয়াত্বের ঝুঁকিতে। বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দেবে চরম সংকট। বিষয়টি সুরাহায় দৌড়ঝাঁপ চলছে বাইডেন প্রশাসনে। এরইমধ্যে বিদেশ সফর কাটছাঁট করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কোয়াড জোটের বৈঠকে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত করেছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) হোয়াইট হাউজে কংগ্রেসের রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট। আশাবাদ জানান, ঋণের সীমা বাড়ানো ইস্যুতে খুব শিগগিরই হবে সংকটের সমাধান। বাইডেন বলেন, কংগ্রেস নেতাদের সাথে বৈঠকের পর আমার মনে হয়েছে খুব শিগগিরই আমরা একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। কারণ, এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের হাতে সময়ও খুব কম। কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা ঋণখেলাপি হতে দেবো না।
তবে জটিলতা দেখা দিয়েছে এক্ষেত্রেও। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের দাবি, ডেমোক্র্যাটরা সরকারি ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার না করলে তারা ঋণের সীমা বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দেবে না। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে উঠেছে।
হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, যেভাবেই হোক ফেডারেল সরকারকে খরচ কমাতে হবে। এই মুহূর্তে জরুরি সঞ্চয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই যতক্ষণ না প্রশাসন ব্যয় কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত না করবে ততক্ষণ ঋণের সীমা বাড়ানো ইস্যুতে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানাবো না। এই পরিস্থিতিতে হাতে যে সময় আছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও অর্থনৈতিক শাট ডাউনের ঝুঁকির মুখে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
/এম ই
Leave a reply