অভ্যুত্থানের দুই বছরে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বুধবার (১৭ মে) জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে এমন বিস্ফোরক তথ্য।
এ প্রসঙ্গে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রু বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমার জান্তা। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংস যুদ্ধাপরাধের পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কমেনি অস্ত্রের সরবরাহ। রাশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকেই এসেছে বেশিরভাগ অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম।
গত দুই বছরে মিয়ানমারে যাওয়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের নথি দেখিয়ে তিনি জানান, রাশিয়া মিয়ানমারকে ৪০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। চীন থেকে গেছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য। সিঙ্গাপুর পাঠিয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম। ভারত পাঠিয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের অস্ত্রশস্ত্র। আর থাইল্যান্ড মিয়ানমারের জান্তার কাছে বিক্রি করেছে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অস্ত্র।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রু আরও বলেন, নিশ্চিতভাবে সাড়ে ১২ হাজার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতেই শিপমেন্টগুলো পৌঁছেছে; সেই রেকর্ডও আমাদের কাছে আছে। এসব শিপমেন্টের ভিন্নতা ও পরিমাণ এক কথায় বিস্ময়কর। তালিকায় যুদ্ধবিমান থেকে ড্রোন, যোগাযোগ উপকরণ আর যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জামও ছিলো। এটা স্পষ্ট যে, সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করেছে মিয়ানমারের প্রায় সব অস্ত্র ব্যবসায়ী।
/এসএইচ
Leave a reply