ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব সৌদি যুবরাজ; বৈধ অধিকার আদায়ে সহায়তার আশ্বাস

|

ছবি: সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

পরিবর্তিত নীতি ও অবস্থানের কারণে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্যের সহিংস পরিস্থিতির বিপরীতে স্থিতিশীলতার নয়া কৌশল সামনে রেখে এগোচ্ছেন সালমান। আঞ্চলিক বিরোধ মিটিয়ে সমন্বিত উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এবার ফিলিস্তিন ইস্যুতেও বেশ সরব দেখা গেলো তাকে। বললেন, এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন ‘টপ প্রায়োরিটি’। আশ্বাস দিলেন ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের জমি ও বৈধ অধিকার আদায়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার। পাশাপাশি, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির সাথেও বৈঠক করেছেন সালমান। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা ও টাইমস অফ ইসরায়েল।

শুক্রবার (১৯ মে) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আরব লীগের সম্মেলন। সেখানেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে খোলাখুলি অবস্থানের কথা জানান সৌদি যুবরাজ। অথচ এতদিন এই ধরনের ইস্যুতে পশ্চিমা মিত্রদের মন যুগিয়ে বেশ কৌশলী অবস্থান নিতেই দেখা যেত সৌদি আরবকে।  সম্মেলনে হঠাৎই উপস্থিত হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেছেন। সম্মেলনে যোগ দেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও। তার সাথেও উষ্ণ আলিঙ্গন করতে দেখা গেল যুবরাজকে।

আরব লীগের সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রাউন প্রিন্সের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য সৌদির নীতি পরিবর্তনের স্পষ্ট আভাস দিচ্ছে। যদিও এই নীতি পরিবর্তনের ঘোর বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো। সম্মেলনে তিনি ফিলিস্তিনিদের জমি ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এমন প্রতিশ্রুতিও পশ্চিমা মিত্রদের খুশি করার কথা নয়। সালমান বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের জমি, বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারে সহায়তা প্রদান করবো। এছাড়া, ১৯৬৭ সালের সীমান্তরেখা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবো।

ক্রাউন প্রিন্স তার বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু আরব দেশগুলোর জন্য একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে এবং আমরা এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখছি। তিনি আশা করছেন আরব লীগে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সিরিয়ায় সংকটগুলো শেষ হবে।

সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির উপস্থিতি ও যুদ্ধে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখতে যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানের দুই কদম এগিয়ে যাওয়া বিশ্বমঞ্চে সৌদি আরবের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply