টাকার লোভে বন্ধুকে হত্যা, ৬ মাস পর তোলা হলো যুবকের পুঁতে রাখা মরদেহ

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

ঢাকার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে নাটোরে মাটিতে পুঁতে রাখা রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার রুয়েরভাগ গ্রামের আসামি তারেক রহমানের বাড়ির পেছন থেকে এই মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। রুবেল হোসেন একই উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার রুপিজ উদ্দিনের ছেলে।

নাটোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, রুবেল হোসেন, তারেক রহমান এবং হৃদয় হোসেন তিনজন বন্ধু। গত বছরের ১১ নভেম্বর হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান জানতে পারে রুবেল হোসেনের বাবা অনেক ধনি ব্যক্তি। তাদের অনেক সম্পদ রয়েছে। এরপরে তারা রুবেলকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা মুক্তিপণ আদায় করার জন্য তাকে নিয়ে যায় তারেকের রুয়েরভাগের বাড়িতে। সেখানে হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান দু’জনে মিলে রুবেলকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর তাকে হত্যা করে। হত্যার পরে তারা রুবেলের মরদেহ তারেকের বাড়ির পেছনে মাটিতে পুঁতে রেখে ঢাকায় চলে যায়। এরপরে তারেক এবং হৃদয় রুবেলের বাবাকে মোবাইল ফোনে রুবেলকে অপহরণের কথা জানায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। রুবেলের বাবা পর্যায়ক্রমে তাদের চল্লিশ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। এরপরেও রুবেলকে ফেরত না দেয়ায় ৪ ডিসেম্বর রুবেলের বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলতি বছরের ১০ মে ডিবি পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় ডিবি পুলিশ ঢাকার দক্ষিণখান থানায় অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারকৃত তারেক এবং হৃদয়কে নাটোরে নিয়ে যায়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে তারেকের বাড়ির পেছন থেকে পুঁতে রাখা রুবেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। হৃদয় হোসেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং তারেক রহমান নাটোর সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকার বাসিন্দা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply