মেয়ের বান্ধবীকে ধর্ষণ, ১০ লাখ টাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

মেয়ের বান্ধবীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে এনারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। নাটোরের রামানন্দপুর গ্রামের ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করে প্রভাবশালী কয়েকজন। ১০ লাখ টাকায় দফারফা হলেও শেষমেশ ভুক্তভোগীর পরিবারটি মামলা করে।

পেশাগত কাজে বাবা মা দু’জনই বাড়ির বাইরে। এ অবস্থায় গত ১৮ মে বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। ঘটনাটি না জানাতে হুমকি দেয়া হলেও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি বাবা-মাকে সব খুলে বলে। জানায়, বান্ধবীর বাবা এনারুল তাকে নির্যাতন করেছেন।

ভুক্তভোগী জানান, আমাকে নির্যাতন করার পর আমাকে হুমকি দেয় আমি যেনো কাউকে এই কথা না বলি। বললে কেটে ফেলবে, মেরে ফেলবে। এই বলে ভয় দেখিয়ে চলে যায়।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ে তার মেয়ের সাথে একই ক্লাসে পড়ে। তার বান্ধবীর বাবা এনারুল এই কাজ কীভাবে করলো? সে যে ক্ষতি করলো আমি তার ফাঁসি চাই। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।

মেয়েটির বাবা মামলা করতে চাইলে গ্রামের প্রভাবশালীরা তাতে বাধা দেয়। শালিসে এনারুল অপরাধ স্বীকার করলে দশ লাখ টাকা জরিমানায় হয় দফারফা। নগদ টাকা না দিয়ে চেক দেয়া হয় পরিবারকে। এক মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করে দেয়ার আশ্বাসে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর নির্দেশও দেয়া হয়।

গ্রাম্য মাতব্বর ইউনুস আলী কেকড়া বলেন, যাইহোক একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে। কিছু টাকা পয়সা দিলে হতো। যাতে মেয়েটার বিয়ে সাদি বা ভালোমতো চলতে পারে।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, সালিশে তারা দশ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। এক মাস পর দেয়ার কথা কিন্তু আমি এই মীমাংসা মানি না। শালিস মানতে না পারায় তিনি মামলা করেন। এরপরই গ্রেফতার হয় এনারুল।

লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন বলেন, রাতভর এবং দিনভর অভিযান চালিয়ে আসামি এনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ন্যায় বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চায় অসহায় পরিবারটি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply