বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বাহিনী কর্তৃক করা মামলা দায়েরের ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিজিবি কর্তৃক দায়েরকৃত এক মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেনো বাতিল করা হবে না সেটিও জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ১৪ জুন এই রুলের উপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, বিজিবির মামলার দায়ের নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপন করেছে হাইকোর্ট। সেই সাথে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করেছে আদালত। এ আইনগত প্রশ্নের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিজিবির সদস্য কর্তৃক বাদী হয়ে ফৌজদারি মামলা করার আপাতত সুযোগ নাই।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ এনে কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে বিজিবি। এ মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চার্জশিট আমলে নেয় আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত। এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি কামরুজ্জামান খান। ওই আবেদনের শুনানিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার বিজিবির আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়।
আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না। শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামললার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন।
/এসএইচ
Leave a reply