রংপুরে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

রংপুর মহানগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে হাতের অপারেশন করার সময় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পরিবারের দাবি, ভুল অপারেশনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যার এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্ত এবং স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন থানার ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২১ মে মোটরসাইকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় বাম হাত জখম হওয়া লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ফজলুল হকের ছেলে হায়দার আলী (২৭) ভর্তি হন রংপুর শহরের ধাপের ভিশন স্পেশালাইজড হাসপাতালে। ওইদিন চিকিৎসক ডা. এমএম হক মাহফিল তার হাতে অপারেশন করলে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রক্ত দেয়ার পর হায়দার আলী মারা যায়। এ নিয়ে সেখানে তৈরি হয় তুলকালাম। এ ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। স্বজনরা এখনও লাশ নিয়ে যাননি। তারা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ঘিরে রাখলে হাসপাতালের পরিচালক কামরুজ্জামান বাহির থেকে নিজের কক্ষের তালা লাগিয়ে দেন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হলে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। গণমাধ্যমকর্মীরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে নিজের পরিচয় আড়াল করে বলেন, আমি হাসপাতালের কেউ না। এখানে দেখতে এসেছি। পরে তিনি নিজের পরিচয় স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি কি হয়েছে আমার জানা নেই।

নিহত হায়দার আলীর বাবা ফজলুল হক বলেন, এই হাসপাতালে ৪০ হাজার টাকায় আমার ছেলের অপারেশনের চুক্তি হয়। আমরা টাকাও দিয়েছি। কিন্তু তারা অপারেশনের পর আমার ছেলের অবস্থা অবনতি হয় এবং মারা যায়। আমার ছেলের বাম হাতের পেশির কাছে হাড্ডি ভেঙ্গে যায়। তাহলে সেটা যদি কেটেও ফেলা হতো, তাতেও কি মানুষ মারা যায়। আমি চাই, আমার ছেলেকে যারা অপারেশনের নামে হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।

হায়দার আলীর শ্যালক জানান, যখন রক্ত দেয়া হচ্ছিল, তখন স্কিলিং করা হচ্ছিল না। তখন আমি এর প্রতিবাদ করি। তারা বাধ্য হয়ে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে রক্তের স্কিলিং করে। যে হাসপাতালে রক্ত স্কিলিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা আবার স্পেশালাইজড শব্দ জুড়ে দিয়েছে। তারা ইচ্ছে করে ভুল অপারেশনে আমার দুলাভাইকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

এএআর/