দীর্ঘ ১৪ বছরেও শেষ হয়নি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য একে অপরকে দুষছে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। আইনমন্ত্রীর আশা, যুক্তিতর্ক শেষে আগামী মাসেই ঘোষণা হতে পারে কাঙ্ক্ষিত রায়। মামলায় তারেক রহমানসহ অন্যান্য আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৪ সালে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় নৃশংস-বর্বর গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তখনকার মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। আহত হন পাঁচ শতাধিক।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রথম দফা চার্জশিট হয় ২০০৮ সালে। পরে ২০১২ সালে অধিকতর তদন্ত শেষে আরেক দফা চার্জশিট জমা দেয়া হয়। অভিযুক্ত করা হয় ৫২ জনকে। যার মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৭ জন পলাতক, কারাগারে ২৩ জন। অন্যতম আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি আবদুল হান্নান এখন মৃত।
মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন ২২৫ জন। আসামি লুৎফুজ্জামান বাবরের সবশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট। বিচারে দীর্ঘসূত্রতার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি রেজাউর রহমান বলেন, আসামিপক্ষ শুনানির নামে কালক্ষেপন করছেন। একেকবার একেকজন আইনজীবীকে আনছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে মামলাটিকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করেছে। আমার মনে হয় মূল আসামিরা মামলা থেকে বাদ পড়ে গেছে।
আইনমন্ত্রীর আশা শিগগিরই হবে মামলার রায়। বলেছেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে সেপ্টেম্বর নাগাদ বিচারিক আদালতে ঘোষণা হবে ভয়াবহ এই হামলা মামলার রায়।
রায়ে তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা, মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
যমুনা অনলাইন: আইকে/টিএফ
Leave a reply