গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় একটি ফিউনারেল হোম থেকে পাওয়া যায় ৩১টি অর্ধগলিত মরদেহ। এ ঘটনায় শনিবার (২৭ মে) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির র্যান্ডি ল্যাঙ্কফোর্ড। এর দায়ে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ৪৬ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর ইউএসএ টুডের।
র্যান্ডি ল্যাঙ্কফোর্ডের বিরুদ্ধে এদিন ৪০টি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আগামী জুন থেকে শুরু হবে তার সাজার মেয়াদ। রায় অনুসারে, চার বছর কারাগারে সাজা খাটবেন তিনি। বাকি ৮ বছর থাকতে হবে গৃহবন্দি। শাস্তিপ্রদানের ক্ষেত্রে তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেছেন বিচারক।
ফিউনারেল হোমের পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৫৩টি পরিবারের কাছ থেকে অর্থগ্রহণ করেও মরদেহগুলোর সৎকার করেননি তিনি। সেভাবেই সেগুলোকে ফেলে রেখেছিলেন ফিউনারেল হোমের ভেতরই।
এর জেরে গত বছরের জুলাইয়ে ভবনটির কাছে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ টের পান স্থানীয়রা। এরপরই শুরু হয় তদন্ত-তল্লাশি। বেরিয়ে আসে, হিমায়িত না করা একের পর এক মরদেহ। পঁচে-গলে সেসব থেকে বেরোচ্ছিল দুর্গন্ধ। তাছাড়া পুরোপুরি দাহকার্য শেষ না হওয়া ১৭টি মরদেহও উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় র্যান্ডি ল্যাঙ্কফোর্ডকে।
এসজেড/
Leave a reply