শোয়েবের নোট বনাম শেবাগের চুল!

|

কোনটির পরিমাণ বেশি- শোয়েব আখতারের টাকা নাকি বীরেন্দর শেবাগের চুল? এতটুকু পড়ে মনে হতে পারে, কিসের মধ্যে কী! এ দুয়ে তুলনা চলে? কিন্তু এ বিষয়েই শোয়েবের ইটের জবাবে শেবাগ যখন পাটকেল ছোড়েন তখন তুলনাটা যে এসেই যায়।

খেলার মাঠে বরাবরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে দু’দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে হৃদ্যতার কোনো সম্পর্ক নেই। পাকিস্তানের গতিতারকা শোয়েবের সাথেও তেমনি ভালো বন্ধুত্ব ভারতীয় হার্ডহিটার বীরুর। তাই বলে খুনসুটির সুযোগ পেলে হাতছাড়া করেন না কেউই।

যেমন বীরেন্দ্রর শেবাগ একবার কটাক্ষ করে বলেছিলেন, খেলার সময় শোয়েব আখতার কোনোদিন ভারত বা ভারতীয়দের প্রশংসা করেনি। খেলা ছাড়ার পর বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভারতের প্রশংসা করছে। 

এর জবাব দিতে ছাড়েননি শোয়েব আখতারও। বলেছিলেন, শেহবাগ আমার অনেক ভালো বন্ধু। সে হালকা মেজাজে কথা বলে। মজার ছলে ও হয়তো কিছু একটা বলেছে। আমি বলতে চাই ওর মাথায় যত চুল আছে তার চেয়েও আমার বেশি টাকা আছে।   

শোয়েবের সে কথা ভালোভাবেই মনে রেখেছিলেন শেবাগ। শনিবার প্রকাশ পাওয়া ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‍’ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্স‌‌‌‌‌’ নামের একটি অনলাইন শো’তে শোয়েবের খোঁচার জবাব দিতে ভুলেননি বীরু। বলেন, সে (শোয়েব) বলেছিল আমার মাথার চুলের চেয়ে তার কাছে বেশি নোট আছে। এখন আমার চুলের সংখ্যা তার নোটের চেয়ে বেশি।

শেবাগ আরও বলেন, শোয়েব আখতারের সাথে ২০০৩ সাল থেকে অমার গভীর বন্ধুত্ব। আমি তাদের মাঠে দুইবার খেলতে গিয়েছি, সেও দুইবার আমাদের দেশে খেলতে এসেছে। আমরা একে অপরের পা টানাটানিও করেছি। 

তবে তার জন্য সবচেয়ে ভীতিকর বোলার হিসেবে বন্ধুর বদলে অন্য একজনকেই বেছে নিলেন শেবাগ। শোয়েব আখতার, ব্রেট লি বা ম্যাকগ্রা নয়, মুত্তিয়া মুরলিধরনের মুখোমুখি হতেই নাকি সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন বীরু।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply