আবারও আলোচনায় ইউক্রেন। স্পষ্ট ঘোষণা না দিলেও, হামলা জোরদার নিয়ে নানা ধরনের সংকেত দিচ্ছে কিয়েভ। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি আর পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র-সরঞ্জাম, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োগও দেখা যাচ্ছে ফ্রন্টলাইনে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রণক্ষেত্রে সাফল্য পেতে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে হবে ইউক্রেনকে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
দু’দিন আগে টেলিগ্রামে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ক্যাপশনে ছিল নিরবতা নিয়ে গানের লাইন। যেখানে চুপ থাকার সংকেত দেখান ইউক্রেনীয় সেনারা। আর শেষে দেখানো হয় এফ সিক্সটিন ফাইটার জেটের ছবি।
অনেকেই এ ভিডিওকে বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ বলে বিবেচনা করছেন। কারণ, একই দিন রাশিয়ার দখলকৃত দোনেৎস্কের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে বড় ধরনের হামলা চালায় ইউক্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই যে প্রস্তুতির কথা বলেছে ইউক্রেন, তবে কী বহুল আলোচিত সে পাল্টা অভিযানই শুরু হলো?
এদিকে, রাশিয়া হামলা প্রতিহতের দাবি করলেও বড় এ অভিযানকে কিয়েভের আটঘাট বেধে নামা হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে। কিয়েভ অবশ্য এখনও স্পষ্ট করছে না বিষয়টি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এ প্রসঙ্গে বলেন, পাল্টা হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট অস্ত্র আছে আমাদের হাতে। অভিযান কখন শুরু হবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউক্রেনের জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এ অপারেশনে সফল আমরা হবোই। যা ন্যাটোর সদস্যপদপ্রাপ্তিতে আমাদের সাহায্য করবে।
একদিন আগেই বাখমুতের বেরখিভকা গ্রামের কিছু অংশ পুনর্দখলের দাবি করেছিল কিয়েভ। পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টে আরও কিছু অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে বলেও জানায়। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিয়েভের সাফল্য বোঝা যাবে, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ কোনো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে পারলে।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক রিচার্ড ব্যারনস বলেন, রাশিয়া তাদের দখলকৃত অংশ ধরে রাখতে নজর দেবে। আর ইউক্রেন পুনরুদ্ধারে। তাই ফ্রন্টলাইন সীমিত হবে। পশ্চিমা সহায়তা ধরে রাখতে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য দেখাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলে নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ন্যাসামস, আইরিস-টি এর মতো অত্যাধুনিক স্বল্পপাল্লার মিসাইল ইউক্রেন আগেই পেয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় পেয়েছে প্যাট্রিয়ট মিসাইল, এফ সিক্সটিন ফাইটার জেট। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কারবি বলেন, ইউক্রেনকে দেয়া সহায়তার শেষ প্যাকেজে আরও মিসাইল থাকবে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে তালিকার শীর্ষে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যাতে ইউক্রেনের আকাশ সুরক্ষিত থাকে।
প্রসঙ্গত, এসব পশ্চিমা সহায়তার পর ইউক্রেন আদতে যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে কিনা- তা সময় বলে দেবে।
/এসএইচ
Leave a reply