বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান রানার্সআপ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দু’দলের লক্ষ্য প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাজদণ্ড ঘরে তোলা।
বুধবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে। চ্যাম্পিয়নশিপের গতবারের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ভারতের। সেই হতাশা ঝেড়ে এবার শিরোপা জিততে আশাবাদী রোহিত শর্মার দল।
ফাইনালের আগে রোহিত-বিরাটদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়। ভারতের মাটিতে সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। স্পিন সহায়ক উইকেটে অজিদের অনায়াসে হারায় ভারত।
কিন্তু ভারতের চিন্তার কারণ ইংল্যান্ডের বাউন্সি কন্ডিশনে ব্যাটাররা নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারে। শুধু ব্যাটিং নয়, কোহলিদের চিন্তার বিষয় আছে আরও। ইংলিশ কন্ডিশনে ডিউক বলও কঠিন পরীক্ষা নেয় ব্যাটসম্যানদের।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে প্রবল চাপের জন্য তৈরি থাকলে কিছু কিছু সাফল্য মিলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ব্যাটসম্যানের জন্য এখানে সেট বলে কিছু নেই। সবসময়ই মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। মানসিকভাবে শক্ত থাকাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ সিরিজে ভারতের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও, দারুণ খেলে শেষ টেস্টে জিতেছিল অজিরা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন অনেকটা নিজেদের দেশের মতো হওয়ায় ফাইনালে ভালো করার আশা করছেন ডেভিড ওয়ার্নার-প্যাট কামিন্সরা। অস্ট্রেলিয়ার বড় ভরসার জায়গা তাদের পেস আক্রমণ। ইংল্যান্ডের বাউন্সি কন্ডিশনে কঠিন পরীক্ষা নেয়ার অপেক্ষায় অজি পেসাররা।
এখন পর্যন্ত ১০৬ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৪৪টিতে, আর ভারতের জয় ৩২টিতে। ১টি ম্যাচ টাই ও ২৯টি ড্র হয়েছে। ফলে পরিসংখ্যান বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া বেশি এগিয়ে রয়েছে।
‘গ্র্যান্ড ফাইনালের’ গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেন, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের যেমন গুরুত্ব, টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালের গুরুত্বও কম নয়। দীর্ঘ দুই বছর লড়াইয়ের পর আমরা ফাইনাল খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এ ফাইনালের স্বাদ নিতে সবাই মুখিয়ে আছে। যেহেতু প্রথমবার আমরা টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবো। আশা করছি, আগামী ছয় দিন ছেলেরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবে।
দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব মিলিয়ে ৩.৮ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি নির্ধারণ করেছে আইসিসি। প্রথম আসরেও প্রাইজমানির পরিমাণ একই ছিল। আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১.৬ মিলিয়ন ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ৮ লাখ ডলার।
ফাইনালের আগে শুরু হয়েছে কথার লড়াইও। কোন দল ফাইনালে এগিয়ে থাকবে নিজেদের মতো করে মতামত দিচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকরা। দেখা যাক ওভালে ফাইনাল জিতে গতবারে ফাইনালে হারের হতাশা ভুলতে পারে কিনা ভারত। নাকি কোহলিদের হারিয়ে নিজেদের প্রথম ফাইনালে শিরোপা জিতবে অস্ট্রেলিয়া?
এএআর/
Leave a reply