দেশে বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং, মজুরি কাঠামোতে পিছিয়ে বাংলাদেশিরা

|

বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন দেশে। এর মধ্যে প্রায় চার লাখ নিয়মিত কাজ করেন; প্রতি মাসেই থাকে কিছু না কিছু আয়। কিন্তু মজুরি কাঠামোতে পিছিয়ে বাংলাদেশের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পেওনিয়ার ‘২০২৩ ফ্রিল্যান্সার ইনসাইটস রিপোর্টে’ প্রকাশ করেছে এসব তথ্য। ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে ঘণ্টাপ্রতি আয় করেন ১৮ ডলার। যা এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে ২০ ডলার। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে ২৬ ডলার পর্যন্তও মজুরি দেয়া হয়।

ওয়েব, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মার্কেটিং ও প্রোগ্রামিংয়ের কাজে বাংলাদেশিদের দখল বেশি। তবে যেহেতু দেশে কম বয়সী ফ্রিল্যান্সার বেশি, তাই শুরুতে তাদের বেশি মজুরিতে কেউই কাজ দিতে চায় না। তবে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে মজুরি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক বলেন, কাজের সাথে সাথে রেফারেন্সের সাথে যখন রেটিং বাড়ে তখন রেট বাড়ানোর সুযোগ থাকে। সময়ের সাথে আমাদের ছেলেরা যখন আরও কাজ করতে পারবে তখন কাজের রেট বাড়বে।

কাজের পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে পারলে সেটা ফ্রিল্যান্সারদের মজুরি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে বলে জানান এই অনলাইন বিশ্লেষক।

বেসিসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ বলেন, মূলত তিনটি জিনিসের দরকার হয়, প্রথমত স্কিল, দ্বিতীয়ত আপনার কমিটমেন্ট ও তৃতীয় কমিউনিকেশন স্কিল। ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিলটা যদি আরেকটু ডেভেলপড হয় তাহলে ওরা নেগোশিয়েট ভালো করতে পারবে।

অনলাইনভিত্তিক বাজার ব্যবস্থায় দক্ষতা বাড়াতে সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম থাকলেও এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শও তাদের।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply