অর্থবছরের ১০ মাসে অর্ধেক এডিপি বাস্তবায়ন!

|

তৌহিদ হোসেন:

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে। ফলে, শেষ দুই মাসে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে সরকারকে।

প্রতিবছরই এডিপি নিয়ে প্রায় একই চিত্রের দেখা মেলে। প্রতি অর্থবছরেই কাজ আগে হয়, বিল দেয়া হয় পরে। ফলে শেষ সময়ে প্রচুর বকেয়া বিল পরিশোধের চাপ থাকে। তার ওপর সড়ক খোঁড়াখুড়ি আর নির্মাণ কাজ নিয়ে সরকারের নানা বিভাগের সমন্বয়হীনতা তো আছেই।

এদিকে, আইএমইডি এর সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ মাসে ৫০ দশমিক ৩ ভাগ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে, যা করোনার সময় ছাড়া গত ৫ বছরে সর্বনিম্ন। নিজস্ব অর্থ খরচে সবচেয়ে পিছিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এগিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। মোট বরাদ্দের প্রায় ৯৮ ভাগ অর্থ খরচ করেছে এই বিভাগ। এরপরে পর্যায়ক্রমে মন্ত্রিপরিষদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক, তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের নাম। ৬২ ভাগ বরাদ্দ ব্যয় করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, গুরুত্ব অনুযায়ী প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের ফলে বাস্তবায়নের গতি কমেছে। তারপরও কোনো কাজ থেমে নেই।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা উদারভাবে বরাদ্ধ রেখেছিলাম। তা থেকে যদি পুনর্বন্টন করা যায়, তাহলে তো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ভালো। তাতে তো আমাদের অবকাঠামো তৈরিতে বাধা হচ্ছে না।

বরাদ্দের টাকা একবার ফেরত গেলে, পরের বছর পেতে সমস্যা হয়, এমন ভাবনা থেকেই অর্থবছরের শেষে বেশি অর্থ খরচ করে সরকারি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। তাই, প্রতি বছরই এডিপি বাস্তবায়ন হয় শতভাগের কাছাকাছি। প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে কী প্রকল্পের মান ঠিক থাকে?

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী যখন দায়িত্ব নেন, এর শুরুতেই বলেছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাসিক, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনা করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা ঠিকমতো কাজ করতে পারবে না, পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় ৫৫ ভাগ এডিপি বাস্তবায়ন করেছিল সরকার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply