চট্টগ্রাম ব্যুরো:
ইয়াবার পর স্রোতের মতো হেরোইন ঢুকছে চট্টগ্রামে। গত ১১ দিনের মধ্যে ধরা পড়েছে ৩টি বড় চালান। সবকটি একই কায়দায় সড়কপথে বাসযোগে নেয়া হচ্ছিলো। সবশেষ বুধবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে দেড় কেজি হেরোইন জব্দ করেছে বিজিবি। তবে কেউ ধরা না পড়ায় এসব হেরোইনের উৎস ও গন্তব্য এখনও অজানা।
জানা গেছে, বুধবার রাতে গাজীপুর থেকে আসা শ্যামলী পরিবহণের এই যাত্রীবাহী বাসটি চট্টগ্রামের এ কে খান মোড়ে পৌঁছলে তল্লাশি চালায় বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ টিম। এক পর্যায়ে বাসে থাকা কালো একটি ব্যাগে পাওয়া যায় আটটি প্যাকেটে লুকানো দেড় কেজি হেরোইন। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে ধরা যায়নি কাউকে।
চট্টগ্রাম মেট্রো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিদর্শক জাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশকে এখানে চোরাচালানের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে নাকি বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে সেটিই তদন্ত করছি আমরা।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুখ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি আমরা। যেহেতু আমরা কাজ করছি, আশা করছি মাদকের বিস্তার আমরা রোধ করতে পারবো।
ভয়ংকর এসব মাদক কে বা কারা বহন করছিলো তা জানেন না গাড়িতে থাকা যাত্রীরাও। কয়েকজন যাত্রী বলেন, চেক করতে করতেই বিজিবি সদস্যরা একটি কালো ব্যাগে এসব পেলেন। আমরা তো হতভম্ব হয়ে গেছি। বাসের ওরা পথে অনেক লোকাল যাত্রীকেও তুলেছে। কে তুলছিলো এখন এটা বোঝা কঠিন।
এ নিয়ে, গত ১১ দিনে চট্টগ্রামে ঠিক একই জায়গায় হেরোইনের ৩টি চালান ধরা পড়লো। গত ৯ জুন সীতাকুন্ডে এবং ৩ জুন অলংকার মোড়ে পৃথক দুটি বাস তল্লাশি করে দু’দফায় ৩ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছিলো বিজিবি। সব চালানের উৎস ও গন্তব্য এক বলে সন্দেহ বিজিবি’র।
চট্টগ্রাম বিজিবি-৮ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আমিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, দেখুন ঢাকা হচ্ছে একটা হাব। মাদক অন্য সব জায়গা থেকে ঢাকায় যায়। তবে এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না যে এই চালান ঢাকা থেকে আসছে নাকি ঢাকায় যাচ্ছে।
/এসএইচ
Leave a reply