জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতিসহ সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে নাদিম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরও চারজনকে আটক করে পুলিশ। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত মোট দশজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তদের এখনও আটক না করায় দেশের বিভিন্নস্থানে মানববন্ধন করেছেন ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
এদিকে, শুক্রবার দুই দফা জানাজা শেষে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় নিহত সাংবাদিক নাদিমকে। এর আগে, বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময় নাদিমের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
নাদিমের পরিবারের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নির্দেশেই এ হামলা চালানো হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম।
এর আগে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাবু। সে মামলায় খালাস পান নাদিম। বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নাদিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
প্রসঙ্গত, গোলাম রব্বানি নাদিম অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
/এসএইচ
Leave a reply