চাইলেই কিয়েভের একাংশ ধ্বংস করে দিতে পারতো রুশ সেনারা, তবে তা লক্ষ্য ছিল না ক্রেমলিনের। এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, আমরা কিয়েভের যেকোনো ভবন ধ্বংস করে দিতে পারতাম। কোনো বাধাই ছিল না। তবে কিছু কারণে তা করিনি। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (১৭ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন পুতিন। পুরো সময় জুড়েই রুশ প্রেসিডেন্টের কণ্ঠে ছিল ইউক্রেন আর পশ্চিমাদের প্রতি হুঁশিয়ারি।
এ সময় পুতিন বলেন, বিভিন্ন ফ্রন্টে রুশ সেনাদের মনোযোগ সরিয়ে দিতে ক্রেমলিন ও রুশ সীমান্তে হামলা চালানো হয়েছে। বোলগোরদসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা হলো উসকানিমূলক পদক্ষেপ।
পুতিনের দাবি, রণক্ষেত্রে কৌশলগতভাবে রাশিয়াকে হারাতে সব চেষ্টাই করছে পশ্চিমারা। শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে তারা অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে ইউক্রেনকে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, শিগগিরই কিয়েভের নিজস্ব অস্ত্র শেষ হয়ে যাবে। এরপর তাদের সম্পূর্ণভাবে অস্ত্র সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে এভাবে বেশিদিন লড়াই করা যায় না। আমরা গত বছরের চেয়েও সামরিক উৎপাদন ২ দশমিক ৭ গুণ বাড়িয়েছি। কারখানাগুলোতে দিনরাত কাজ চলছে।
বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। জানান, শত্রুপক্ষকে সতর্ক করতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে রুশ ভূখণ্ড হুমকিতে পড়লেই কেবল ব্যবহার হবে পরমাণু অস্ত্র।
এসজেড/
Leave a reply