সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালায় একটি পিস্তল ও সাত রাউন্ড বুলেটসহ ফিরোজ সানা (৪২) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দানা বাধছে রহস্য।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে ফিরোজ সানাকে আটক করা হয়। তবে আটককৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনাটি সাজানো নাটক। এদিকে পুলিশ বলছে, উপজেলার শালিকা পাখিমারা বিলে মাছের ঘেরের বাসায় নিজের কোমর থেকে পিস্তল ও গুলি বের করে দেয় ফিরোজ সানা।
আটককৃত ফিরোজের বড় ভাই শাহিন সানা জানান, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আমার ছোট ভাই বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলো এমন সময় মোটরসাইকেল যোগে তিন পুলিশ সদস্য এসে ভাইকে তুলে নিয়ে ঘেরের বাসায় যায়। এরপর, আমিসহ গ্রামের শতাধিক লোক দ্রুত সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই। গিয়ে দেখি, সেখানে অপর এক পুলিশ সদস্য আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল। ভাইকে প্রথমে ঘেরের বাসায় না নিয়ে বাসা থেকে দুইশ হাত মতো দূরে দাঁড়িয়ে ছিল তারা। পুলিশই স্থানীয় ইউপি মেম্বার বিল্লালকে খবর দেয়। তিনি আসার পর পুলিশ সদস্যরা ঘেরের বাসার কাছে নিয়ে যায় ভাইকে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ঘেরের বাসার তালা ভাঙা। প্রশ্ন ওঠে তালা ভাঙলো কে? পরবর্তীতে ঘেরের বাসা তল্লাশী করে পুলিশ কিছুই বের করতে পারেনি। তখন বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশ সদস্য হঠাৎ বলে ওঠে- এই তো চালের ওপর পাওয়া গেছে। পুরো ঘটনাটি সাজানো নাটক। অন্য কেউ অস্ত্র ও গুলি ওখানে রেখে আমার ভাইকে ফাঁসিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে খেশরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, এলাকায় ফিরোজ সানার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো অভিযোগ নেই। এলাকার কেউ ঘটনাটি বিশ্বাসও করছে না। পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ ডেকে আনা বালিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে বাবু জানান, ঘের থেকে ১২ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে আমার মুখের মধ্যে অস্ত্র ঢুকিয়ে গুলি করার ভয় দেখিয়ে টাকা ফেরৎ চেয়েছিলো ফিরোজ সানা। আমি ভয়ে পরে টাকা ফেরৎ দেবো বলে রক্ষা পাই ও ঘটনাটি পুলিশকে জানাই।
স্থানীয়রা বলছেন, অভিযোগকারী বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচিত হবে।
এ প্রসঙ্গে তালা থানার ওসি রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, অস্ত্রটি মাছের ঘেরের বাসার পাশে থেকে নয় তার কোমরেই পাওয়া গেছে। পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
/এসএইচ
Leave a reply