দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ (২৩ জুন)। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার কে এস দাস লেনের রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা পায় দলটি। দীর্ঘদিনের পথচলায় দলটির বয়স এখন ৭৪।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা। অতঃপর বাঙালি জাতির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, চরম অবহেলা ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ।
এখনও গণমানুষের দল হিসেবে প্রথম নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এটিই দলটির সব থেকে বড় প্রাপ্তি। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নতি সব ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দল হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত গণ আন্দোলন, বাংলাদেশের সমস্ত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং বর্তমানে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি পর্যায়ে উন্নীত করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবদান অনস্বীকার্য।
নানা ঘাত প্রতিঘাতের পর দলটির দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ভঙ্গুর দলটিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি এসেছেন ক্ষমতায়। গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি শুরু হয় অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। তবে নানা অর্জনে একক কৃতিত্ব থাকলেও টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে ক্রমেই তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রের দূরত্ব বাড়ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আমলা ও ব্যবসায়ীদের প্রতি অতিনির্ভরতার কারণেও সাংগঠনিক কাঠামো গুরুত্ব হারাচ্ছে বলেও মত তাদের।
অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, জনগণের মধ্যে থেকে সৃষ্ট যে দল এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক দল, সেই দল তো জনবিচ্ছিন্ন হবে না। এবং জনপ্রিয়তাও হারাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শিক্ষাকে ধারণ করতাম জাতি হিসেবে, তাহলে কিন্তু এতো দুর্নীতি বিস্তার করতে পারতো না।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল- সব ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত থাকলে সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। ফলাফল হিসেবে শুধু দলের কর্মীদের ওপর ভিত্তি করেই আদর্শ ও ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে এগিয়ে চলবে আওয়ামী লীগ, এমনই আশা সবার।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে এই সংগঠনটির নেতৃত্ব।
এএআর/
Leave a reply