১৯৯৭ সালে হলিউডের নির্মাতা জেমস ক্যামেরন বানিয়েছিলেন টাইটানিক। এরপর তিনি মোট ৩৩ বার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়েছেন। টাইটান ধ্বংস হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর এই পরিচালক বিবিসিকে দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। সেখানে তিনি বলেন, টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনেই তিনি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছিলেন, খুব খারাপ কিছু একটা হয়েছে এর সাথে।
ক্যামেরন বলেন, টাইটানের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেটকে সতর্ক করা হয়েছিলো অনেক আগেই। অভিযোগ করে বলেন, টাইটান ত্রুটিযুক্ত ছিল। তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল, তা নিয়ে আমার আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। এছাড়া টাইটানের মূল কোম্পানি ওশেনগেটও খুব ভালো করেই জানতো তারা কখনও সার্টিফাই হবে না।
ডুবোজাহাজ টাইটান তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল কার্বন ফাইবার এবং টাইটেনিয়াম। ২০১২ সালে ক্যামেরন প্রশান্ত মহাসাগরে ডিপসি চ্যালেঞ্জার সাবমার্সিবল অভিযানের জন্য একটি আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। যার ফলে তিনি সাগরের ৩৫ হাজার ৮০০ ফুট গভীরে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন। কিন্তু টাইটানের ধ্বংসাবশেষ ১২৫০০ ফুট নিচে পাওয়া গেছে।
ক্যামেরন জানান, যখন তিনি জানতে পারেন যে সাবটি একই সাথে তার ন্যাভিগেশন এবং যোগাযোগ উভয়ই হারিয়ে ফেলেছে, তখনই বিপর্যয়ের বিষয়ে সন্দেহ হয় তার।
তিনি আরও বলেন, সোমবার এ ঘটনা জানার সাথে সাথে আমি গভীর ডুবোযানের সাথে সম্পর্কিত লোকজনকে ফোন করি। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে আমি জানতে পারি, তারা ৩৫০০ মিটার গভীরতা থেকে ৩৮০০ মিটারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। প্রথমই যে জিনিসটি আমার মনে আসে তা হল অভ্যন্তরীণ বিস্ফোরণ।
টাইটানের এই পরিণতির সঙ্গে ১৯১২ সালে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার মিল রয়েছে বলেও জানান ক্যামেরন। বলেন, সতর্কতা না মেনে চলার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। ওশানগেটকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
কোম্পানটিতে কাজ করা অনেকেই পদত্যাগ করেছিলেন বলে জানালেও, এর কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
এটিএম/
Leave a reply