মস্কোর পথে এগুচ্ছে ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার বাহিনী। ওয়াগনারের সৈন্যরা মস্কোর দক্ষিণে লিপ্টেস্ক অঞ্চল অতিক্রম করছেন। শহরটির গভর্নর তা নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওতে ওয়াগনারের একটি সামরিক বহরকে লিপ্টেস্ক অঞ্চলের ভেতর দিয়ে মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে। লিপ্টেস্কের দূরত্ব মস্কো থেকে ৪০০ কিলোমিটারেরও কম।
এদিকে, মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন তার শহরের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে ওয়াগনার বাহিনীর পৌঁছে যাওয়াকে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ঝুঁকি কমাতে আগামী সোমবারে মস্কোকে ‘নন-ওয়ার্কিং ডে’ বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া, শহরটির বাসিন্দাদের যতদূর সম্ভব ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অন্যতম শক্তি ছিল ওয়াগনার বাহিনী। বাহিনীটির প্রধান প্রিগোজিনের অভিযোগ, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্ব শুক্রবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তার বাহিনীর বহু যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, তাই তিনি তাদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করে শাস্তি দিতে চান।
এ অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পেরুতেই শনিবার ভোররাতে প্রিগোজিন জানান, ওয়াগনার সদস্যরা ইউক্রেন থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার রস্তোভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে এবং তারা মস্কোর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। তার বাহিনীর ২৫ হাজার যোদ্ধা তার সঙ্গে আছে বলেও জানান তিনি।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
ওয়াগনার গ্রুপ বিদ্রোহ ঘোষণার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয় রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে। শনিবার ভোর থেকেই সীমান্ত অঞ্চল রোস্তভ এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোয় টহল দেয়া শুরু করে ওয়াগনারের সদস্যরা। অবস্থান নেয় স্কয়ার এরিয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয়। এর কিছুক্ষণ পরই দখলে নেয় রোস্তভে অবস্থিত রুশ সামরিক দফতর। ফলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে রুশ বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড। এছাড়া ৩টি রুশ হেলিকপ্টার ধ্বংসের দাবিও জানিয়েছে ওয়াগনান বাহিনী।
এ অবস্থায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বিদ্রোহ দমাতে সর্বাত্মক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার বাহিনীকে বেঈমান আখ্যা দেন তিনি।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এ ধরনের বিদ্রোহের অর্থই হলো মাতৃভূমির বিরুদ্ধ যাওয়া। ওয়াগনারকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে রাশিয়াকে রক্ষার জন্য। কিন্তু গোষ্ঠীটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেছে। তাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই বিদ্রোহ দমন করা। এরইমধ্যে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না শত্রুদের।
এদিকে, সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনার গ্রুপের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী।
/এমএন
Leave a reply