‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র কাবা চত্বর। আগামীকাল থেকে শুরু হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়।
স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ (২৬ জুন) সোমবার ভোরে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। যদিও ভিড় এড়াতে আজ সন্ধ্যার পর থেকেই অনেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে রওনা করবেন। টানা পাঁচদিনের আমল শেষে আগামী শুক্রবার (১২ জিলহজ) শেষ হবে হজের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা।
এদিকে হজযাত্রীদের নিরাপত্তার নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সৌদি প্রশাসন। এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এমন কর্মকাণ্ড রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। জনবলের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
হজ পালনের উদ্দেশে এ বছর এখন পর্যন্ত ১৬ লাখেরও বেশি মুসল্লি পাড়ি জমিয়েছেন সৌদির পবিত্র ভূমিতে। সময়ের সাথে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সঠিক ব্যবস্থাপনা সৌদি সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। যা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ আয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে পবিত্র স্থানগুলোকে ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। সুষ্ঠু ট্রাফিক, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের চলাচলে নজরদারি রাখবে নিরাপত্তা বাহিনী। অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক তদারকিতেও প্রস্তুত বিশেষ আইটি বিভাগ।
নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ শরিফ বলেন, কল পাওয়ার পর যাবতীয় তথ্য নিয়ে ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অতিথিদের সেবা দেয়ার জন্য সব নিরাপত্তা বিভাগ একটি জায়গায় অবস্থান করে কাজ করছে। আমাদের উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সবগুলো ধর্মীয় স্থানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন কোনো কিছু চোখে পড়লেই বিষয়টা তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা বিভাগকে জানানো হচ্ছে। যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি হাজীদের সুস্থতার দিক বিবেচনায়, গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে সার্বক্ষণিক সেবা দেবে ১৪ হাজার কর্মী এবং ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।
এএআর/
Leave a reply