ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ. লীগের অফিসে চোরের হানা

|

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় তছনছ করেছে চোরেরা। শনিবার বিকেলে শহরের হালদারপাড়ায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অফিসের কেয়ারটেকার দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি বাদী হয়ে রোববার (২৫ জুন) বিকেলে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ত্যাগ করার পর বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোরেরা অফিস কক্ষের পেছনের বারান্দার গ্রিলে থাকা এসএস পাইপ ফাঁক করে অফিসে প্রবেশ করে। পরে চোরেরা পিছনের দরজার লক ভেঙ্গে বিভিন্ন রুমে প্রবেশ করে ও কার্যালয়ে থাকা সভাপতির কক্ষ (সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী) তার ব্যক্তিগত ড্রয়ার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে। এ সময় কার্যালয়ের ৪ নম্বর কক্ষে থাকা অফিসের কেয়ারটেকার ভেতরে থাকা দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি ও অফিসের পিয়ন মো. ছাদেকুল ইসলাম শব্দ পেয়ে সভাপতির কক্ষের দিকে গিয়ে দেখেন কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ। তখন অফিসের পিয়ন পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখতে পান গ্রিলের এসএস পাইপ ফাঁক। পরে তারা অফিসের বিভিন্ন রুম ঘুরে জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে জানালে সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অফিসে গিয়ে জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান ও সদর থানা পুলিশকে বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

অভিযোগে থাকা সাক্ষী ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্ত বলেন, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ও সভাপতির কক্ষের জিনিসপত্র ও মালামাল তছনছ করা হয়েছে, তবে কোনো কিছু চুরি হয়নি। কারা এমন কাজ করেছে সেখানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযোগটি কিছু সংশোধন করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply