জমে উঠেছে পশুর হাট, দাম নিয়ে খুশি নন ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই

|

জয়পুর হাটের পশুর হাট।

ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। দেশের বিভিন্নস্থানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী হাটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুরু হয়েছে কেনাবেচা। দিনভরই লেগে আছে ক্রেতার সমাগম। তবে গরুর দাম চড়া বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতাদের পাল্টা দাবি, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মিলছে না তাদের। ফলে লাভও হচ্ছে না আশানুরূপ।

কোরবানি উপলক্ষ্যে জয়পুরহাটে বসেছে নতুন হাট। বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পশু আনা হয়েছে এই হাটে। পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী হাটেও বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাকে সরগরম। ঘুরে ঘুরে পশু বাছাই করছেন ক্রেতারা। ভিড় করছেন আশপাশের জেলার মানুষও।

ক্রেতারা বলছেন, গরু অনুযায়ী দাম অনেক বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, যে দাম ধরা হচ্ছে, তাতে খরচই উঠছে না তাদের।

এদিকে নীলফামারীর ভবানীগঞ্জ, রামগঞ্জ, বসুনিয়াসহ অন্যান্য হাটেও পুরোদমে চলছে বেচাকেনা। বিক্রেতাদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি আর প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করলেও মনমতো দাম পাচ্ছেন না তারা।

এখানেও বিক্রেতাদের একই অভিযোগ। গরুর যে দাম ধরা হচ্ছে, তাতে লাভের মুখ দেখতে পারছেন না তারা। এ নিয়ে হাট ইজারাদার জুলফিকার আলী বলেন, গরুর প্রচুর সরবরাহ আছে। তবে বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। এত দামে ক্রেতারাও কিনতে পারছেন না।

এদিকে, জেলার ২৮টি হাটে সেবা দিচ্ছে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের মেডিকেল টিম। জাল টাকা শনাক্তে বুথ স্থাপন করেছে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকও।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply