দ্বিতীয়বারের মতো গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও দফতর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ জুন গঠনতন্ত্রের ৩৮ ধারা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ৮৪ সদস্যের স্বাক্ষরসহ আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের নিকট বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহ্বায়ক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সদস্যরা উপস্থিত হলেও সভা ডেকে আহ্বায়ক অনুপস্থিত থাকেন। তাই উক্ত সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়। সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নুর সভা সঞ্চালনা করেন।
এতে আরও বলা হয়, সভায় গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮, ১৮ (গ) এর (১) (৩) ও (৮), ৩৪ (ঙ) এবং ৪১ এর ক্ষমতাবলে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কাউন্সিলের পূর্ব পর্যন্ত ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কাউন্সিলের পূর্ব পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক রুটিন মাফিক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে সভা শুরুর আগেই সেখানে না যাওয়ার ঘোষণা দেন ড. রেজা কিবরিয়া। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনি সভায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে পূর্বঘোষিত বিশেষ জরুরি সভা শনিবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আমি নিজেও সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পারলাম যে, ভিপি নুর একই সময়ে আরও তিনটি সভা ডেকেছেন। আমি আরও জানতে পারলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও বহিরাগত লোক এনে কার্যালয়ের আশেপাশে জড়ো করেছেন।
রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, কার্যালয়ের ল্যান্ড ওনার্স আমাকে রাতে অবগত করেছেন- বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন। এবং ঘটনা স্পষ্টতই একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্য মনে হওয়ায় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি রাস্তা থেকে ব্যাক করে চলে আসি। এমতাবস্থায় সভার কোরাম পূর্ণ হলে সভাটি গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার আহ্বান করছি।
এএআর/
Leave a reply