দুই দফায় বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ধুঁকে ধুঁকে পুরো ওভার খেলে ১৬৯ রান তুলেছে টাইগাররা। বেশ মন্থর পিচে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। তুলে নেন বাংলাদেশের ৯ উইকেট। আর স্কোরবোর্ডেও রান বেশি যোগ করতে দেননি।
বুধবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শতভাগ ফিট না হলেও প্রথম ওয়ানডে খেলে নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ফজলহক ফারুকির বলে ২১ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে কী বুঝলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এরপর উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি লিটন দাস। মুজিব উর রেহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২৬ রান করেন লিটন। পরের ওভারে দলের বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন শান্তও। মোহাম্মদ নবির লেগ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা মোহাম্মদ সালিমকে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা এই ব্যাটার।
এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। এরপর বৃষ্টি বাগড়ায় খেলা বন্ধ হয়। বৃষ্টি-বিরতির পর খেলা শুরু হলে বেশি সময় টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ৩৮ বলে ১৫ রান করে আজমাতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে মোহাম্মদ নবির দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তারকা অলরাউন্ডার। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং আফিফ হোসেন পারেননি দুই অংকের রান করতে। দলীয় ১১২ রানে ৩ বলে ১ রান করে ফিরে যান মুশফিক। এরপর আউট হন আরেক ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি। হন্তারক রশিদ খানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই দুই ব্যাটার।
আফিফের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি মিরাজ। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২৩ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর বৃষ্টি নামলে ফের বন্ধ হয় খেলা। তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ৩৪ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান। হৃদয় ৫৭ বলে ৪২ ও তাসকিন ৮ বলে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বৃষ্টি বন্ধ হলে ৬টা ৫০ মিনিটে খেলা শুরু হয় আবার। ব্যাটিংয়ে নেমে অর্ধশতক করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন হৃদয়। উইকেট দেন তাসকিনও।
ডিএল পদ্ধতিতে আফগানদের জিততে ৪৩ ওভারে করতে হবে ১৬৪ রান।
/এমএন
Leave a reply