দু’শ বছর আগের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে। জিআই স্বীকৃতি পেতে ২০১৭ সালে আবেদন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে গত ২৫ জুন জার্নাল প্রকাশ করে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর। ক্ষিরসাপাতি ও ফজলি আমসহ এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪টি জাতের আম এই স্বীকৃতি অর্জন করলো।
ব্রিটিশ আমলে কানসাটে মহারাজা সুতাংশো কুমার আচার্য প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জে গড়ে তোলেন আমের বাগান। পাশাপাশি, বাগান গড়েন মনাকষার জমিদার শাহ মোহাম্মদ চৌধুরীও। আর এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজ্য হিসেবে খ্যাত। প্রাচীন আলকাপ গান আর ছড়ায় মিলেছে জেলার আমবাগানের ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা। শুধু তাই নয়, জেলা গেজেটিয়ারেও উল্লেখ করা হয়েছে তৎকালীন নওয়াবগঞ্জের অধিবাসীদের প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে আমের কথা।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, ২০০ বছর আগে থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের আবাদ হচ্ছে। সেসময় বাংলাদেশের অনেক জায়গায় আমের তেমন আবাদ হতো না। তখন থেকেই এখানে অনেক ভালো ভালো উৎপাদন হতো।
বর্তমানেও এই জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। জেলার কৃষি কর্মকর্তা তুলে ধরলেন ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা। ২০১৯ সালে এককভাবে ক্ষিরসাপাত ও ২০২২ সালে রাজশাহী জেলার সাথে যৌথভাবে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় ফজলি আম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ল্যাংড়া ও আশ্বিনা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, জি আই পণ্য হিসেবে আমি মনে করি শুধু চারটি ভ্যারাইটি না, গৌরমতি ও ইলামতির মতো আরও অনেক আম স্বীকৃতি লাভ করবে।
গোপালভোগ, গৌড়মতি, ইলামতি আমসহ, শিবগঞ্জের আদি চমচম, কলাই রুটি, কুমড়ার বড়ির জিআই পণ্যের স্বীকৃতির দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর।
এটিএম/
Leave a reply