আবেগের বশবর্তী হয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম, যেটা ঠিক হয়নি। এমনটি বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ। তামিম ইকবাল কোনো সাধারণ মানের ক্রিকেটার নন। তাই তার এমন আচরণ ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ইশতিয়াক।
তামিম ইকবালের হঠাৎ অবসরের ঘোষণার পরেই গুঞ্জন উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী ডেকে পাঠাতে পারেন দেশ সেরা এই ওপেনারকে। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সত্যি হলো খবর। তামিম ফিরছেন আবারও। তবে তামিমের অবসরের ঘোষণা ঘিরে এত বড় ইস্যু তৈরি হওয়ার কোনো কারণ দেখেন না জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বলেছেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম, যেটি ঠিক নয়।
ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তামিমের ফিটনেস নিয়ে বলা কথা সম্পর্কে বোর্ড প্রেসিডেন্ট স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, কিংবা কোচ হাথুরুসিংহের বলা কোনো কথা বলার ধরন হয়তো তামিমের পছন্দ ছিল না। তার একটা আক্ষেপ ছিল। সেসবের উপর ভিত্তি করেই অবসরের সিদ্ধান্ত, যতটা আমরা জানি। অবসরের সিদ্ধান্তের পেছনে এটা কতটা যৌক্তিক কারণ হতে পারে? শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, ভিরাট কোহলিদের নিয়ে এত কথা কেন বলা হয়? কারণ, টরা নিজেদের সে রকম একটা অবস্থানে নিয়ে গেছেন; খেলোয়াড় এবং ব্যক্তি- দুই হিসেবেই। আমরা তামিম-সাকিবদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করতে চাই না। তাদের আমরা বিবেচনা করতে চাই সেরাদের সেরা হিসেবে।
তবে এই ঘটনা ভুলে তামিম যেন ফিরতে পারেন নিজের সেরা সময়ে, সেটাই চাওয়া এই সাবেকের। মনে করিয়ে দিলেন, অবসর থেকে ফিরে এসে ৯২ এর বিশ্বকাপ জেতা ইমরান খানের কথা। ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তামিম যেন নিজে ভালো খেলে এবং দলকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যায়। বিশ্বকাপ যদি জিততে পারি তাহলে খুবই ভালো। সেই সামর্থ্য যে নেই, তা না। আমি চাই তামিম সেটাই করুক যা করেছিলেন ইমরান খান। ১৯৮৭ সালে অবসর নেয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ডেকে নিয়েছিলেন ইমরানকে। ১৯৯২ সালে দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দেন ইমরান।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন যারা, তারাই যদি এমন উদাহরণ তৈরি করেন তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ইশতিয়াক। বলেন, ‘সেনসেশনাল’ কিছু করার দরকার নেই। নিজের কাজটা করলেই হলো।
আরও পড়ুন: বিদায় থেকে ফিরে আসা, চারদিনে পূর্ণ তামিম-চক্র
/এম ই
Leave a reply