২০২২-২৩ মৌসুম শেষে দাম কমেছে অনেক ফুটবলারের। দাম তলানিতে পড়ে যাওয়া তারকা ফুটবলারদের মধ্যে সাদিও মানে, পল পগবা, মোহাম্মদ সালাহ ও রোমেলু লুকাকুদের নাম সবার ওপরে। শুধুমাত্র নিজস্ব পারফরম্যান্স নয়, চোট আর বয়সও প্রভাব ফেলেছে দামের অঙ্কের ওপর।
মাত্র এক মৌসুমের পারফরম্যান্সেই বদলে দিচ্ছে সব হিসাবনিকাশ। এ অল্প সময়ের ব্যবধানে একজন খেলোয়াড়ের আকাশছোঁয়া দাম নেমে আসতে পারে তলানিতে! এজন্য শুধু মাঠে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সকে দায়ী করলে ভুল হবে। অনেক সময় খেলোয়াড়দের চোট আর বয়সও প্রভাব ফেলছে ট্রান্সফার মার্কেটে। ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে দাম কমেছে অনেক ফুটবলারের।
যেখানে সাদিও মানে, রোমেলু লুকাকুদের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে গত মৌসুমে তাদের পারফরম্যান্স। অন্যদিকে, চোটের কারণে দাম কমেছে পল পগবা, ফেদেরিকো কিয়েসাদের। আর, মোহাম্মদ সালাহর দাম কমার পেছনে কারণ তার বয়স।
লিভারপুলের হয়ে চমৎকার পারফরম্যান্সের সুবাদে বায়ার্নে পাড়ি জমান সাদিও মানে। কিন্তু, তিনি পূরণ করতে পারেননি ব্যাভারিয়ানদের প্রত্যাশা। ৩৮ ম্যাচে গোল করেছেন মাত্র ১২টি। সানের সাথে বিবাদে হয়েছেন বিতর্কিতও। এসবের প্রভাবও পড়েছে তার দামেও, যা এক বছরে কমেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
বাজে মৌসুম কেটেছে পল পগবারও। ইনজুরির থাবায় পগবাকে য়্যুভেন্টাসের হয়ে মাঠে নামতে অপেক্ষা করতে হয়েছে লম্বা সময়। এ পরিস্থিতিতে তার দাম না কমাটাই বিস্ময়কর হতো। ট্রান্সফার মার্কেটে পগবার দাম কমেছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরো।
গত মৌসুমে লিভারপুল হতাশ করলেও আলো ছড়িয়েছেন মিসরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। মৌসুমে ৫১ ম্যাচে সব মিলিয়ে ৩০ গোল করার পাশাপাশি ১৬টি অ্যাসিস্টও করেছেন এ মিশরীয় উইঙ্গার। এরপরও দাম কমেছে সালাহর। এর পেছনে মূল কারণ তার বয়স। ৩১ বছর বয়সী এ তারকার দাম কমেছে ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
লুকাকুর ব্যর্থতায় ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন রোমেলু লুকাকু। বেলজিয়ান তারকার দামের পতনটা অবশ্য অনুমেয়ই ছিল। গত এক বছরে লুকাকুর দাম কমেছে ৩ কোটি ইউরো।
/এসএইচ
Leave a reply