নতুন করে আবারও আলোচনা ক্লাস্টার বম্ব বা গুচ্ছ বোমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রথম ব্যবহার হয় ক্লাস্টার বোমার। বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোই এর মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও শত্রুপক্ষকে একটি নির্দিষ্টস্থানে বিচ্ছিন্ন করে অবরুদ্ধ করে রাখতেও এই বোমা ব্যবহৃত হয়। খবর এপির।
মূলত একটি বড় আকারের ক্যানিস্টার বা খোলসের মধ্যে থাকে ছোট ছোট শতাধিক বোমা। কামান কিংবা বিমান থেকে ফেলার পর একটি ফুটবল মাঠের মতন বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পরে এসব বোমা। চালাতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। ছড়িয়ে পড়া এসব বোমা অবিস্ফরিত অবস্থায় সক্রিয় থাকতে পারে বহু বছর পর্যন্ত। বিশ্বের শতাধিক দেশে নিষিদ্ধ এই ক্লাস্টার বোমা।
একেকটি ক্যানিস্টারে যে পরিমাণ বোমা থাকে তা একটি ফুটবল মাঠ আকৃতির এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। মুলত সেনা ঘাটি, রানওয়ের মতো এলাকা ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত ক্লাস্টার বোমা। এছাড়াও ট্যাঙ্ক কিংবা সাঁজোয়া যানের ডিভিশন, বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও যুদ্ধ বিমানের রানওয়ে ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা হয় ক্লাস্টার বোমা।
ওয়াশিংটন কিয়েভকে যেসব ক্লাস্টার সরবরাহ করছে তার প্রতিটি ক্যানিস্টারে ৮৮টি বোমা রয়েছে। যা ১৫৫ মিমি হাউইটজার থেকে ছুড়তে সক্ষম।
তবে কামান কিংবা বিমান থেকে ছোড়ার পর এসব বোমার প্রায় ৪০ শতাং পর্যন্ত অবিস্ফোরিত থাকে। যেগুলো কার্যকর থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। ফলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও থাকে প্রাণহানির ঝুকি। আর তাই বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিনিশনস অস্ত্রের মজুত, উৎপাদন এমনকি স্থানান্তরকেও নিষিদ্ধ করেছে। সেই কনভেনশনে ১২৩টি দেশ যোগ দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, রাশিয়াসহ ৭১টি দেশ যোগ দেয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাস্টার বোমা উৎপাদন, ব্যবহার, ও পরিবহন নিষিদ্ধ। সেই আইনকে পাশ কাটিয়ে ইউক্রেনকে এ বোমা দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। ইরাকে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সিরিয়ায় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে রাশিয়া।
এটিএম/
Leave a reply