বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ঈদুল আযহার ছুটিতে যাননি আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। এই সময়টায় তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় তাদের সেই ত্যাগকে এবার পূর্ণতা দিয়েছে। এই সিরিজ জয় যেন আফগানিস্তানের কাছে ঈদের আনন্দের মতোই।
সিরিজের শুরুতে ঢাকা টেস্টে অসহায় আত্নসমর্পণ করেছিলেন হাশমতউল্লাহ শহিদির দল। তবে ৫৪৬ রানের বড় পরাজয়ও দমাতে পারেনি আফগানদের। লড়াই করে টিকে থাকার অভ্যাসটা যে মিশে আছে তাদের রক্তে। তাইতো লাল বলে মুখ থুবড়ে পড়লেও, উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিশোধটা নিলেন সাদা বলে।
প্রত্যেক সফলতার পেছনেই থাকে কিছু বিসর্জন। এই সিরিজে আফগানরা বিসর্জন দিয়েছিল ঈদের খুশি। আফগানিস্তানে পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেলো মাসের ২৮ তারিখ। তবে ঈদের আনন্দঘন সেই মুহুর্তে পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে ১৪ দিন ব্যাপি আবু ধাবিতে কঠোর অনুশীলন করেছেন রশিদ-মুজিব-নবীরা।
সেই ত্যাগ আর পরিশ্রমের ফসল, টাইগারদের নাকানি চুবানি খাইয়ে আফগানদের সিরিজ জয়। অথচ ঘরের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে গত আট বছরে ইংল্যান্ড ছাড়া বাংলাদেশকে হারাতে পারেননি অন্য কোনো দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর সেই আনন্দ-বিসর্জনের কথাই স্মরণ করলেন হাশমতউল্লাহ শহিদি।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক বলেন, আমাদের বোলাররা সর্বশেষ সিরিজে খুব ভালো করতে পারেনি। তবে এই সিরিজের জন্য আমরা ঈদের আনন্দ বিসর্জন দিয়েছিলাম। আবুধাবিতে ১৪ দিনের কঠোর পরিশ্রম করেছি। গত সিরিজে যে জিনিসগুলো ভালো করতে পারিনি, সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। তারই ফল মিলেছে।
গত দুই বছর ধরে এই দলটা গড়ে তোলার পেছনে কাজ করছে আফগানরা। ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করার চেষ্টা করছে প্রতিটি সিরিজেই। যার ফলও পেতে শুরু করেছে দলটা। আর তাই শাহিদীর বিশ্বাস এবারের এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপে ফলাফল আগের চেয়ে ভিন্ন হবে।
যে দলকে ভালোবেসে এক ঝাক আফগান তরুণী পতাকা উড়িয়েছেন সাগরিকায়, সেই দলের উপর বিশ্বাস আর আস্থা রেখে নিজেদের লক্ষ্যে অটুট থাকতে চায় আফগানিস্তান। আর আপাতত সেই লক্ষ্যটা বাঘের ডেরায় ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়। যেটা করতে পারলে বাংলাদেশকে আটে নামিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সাতে উঠে যাবে আফগানরা।
/আরআইএম
Leave a reply